ওয়াশিংটন: একশো বা দুশো কর্মী নয়, একসঙ্গে ১১ হাজারেরও বেশি কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে ফেসবুকের কর্ণধার সংস্থা মেটা। বুধবার এমনটাই জানিয়েছেন মেটা প্ল্যাটফর্মের চিফ এগজেকিউটিভ অফিসার মার্ক জ়াকারবার্গ। একটি বিবৃতি পেশ করে তিনি জানান, প্রথম দফার কর্মী ছাঁটাইয়েই ১১ হাজারেরও বেশি চাকরি খোয়াবেন। একসঙ্গে এত সংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেন জ়াকারবার্গ।
বুধবার মেটা সংস্থার বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সংস্থার মোট কর্মক্ষমতা থেকে ১৩ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করা হবে। আপাতত নতুন করে কর্মী নিয়োগও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মেটা সংস্থার ওয়েবসাইটে পোস্ট করা বিবৃতিতে জ়াকারবার্গ বলেন, “আমি এই সিদ্ধান্ত ও কীভাবে এই পরিস্থিতিতে পৌঁছালাম আমরা, তার সম্পূর্ণ দায় স্বীকার করছি। আমি জানি, এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত কঠিন সকলের কাছে, বিশেষ করে যারা এই সিদ্ধান্তে প্রভাবিত হচ্ছেন, তাদের কাছে আমি ক্ষমা চাইছি।”
চলতি বছরে মেটার শেয়ারদরে ৭১ শতাংশ পতন হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা। এছাড়া ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগীতা ও বিপুল পরিমাণে বিজ্ঞাপন খোয়ানোয় চরম আর্থিক ক্ষতি হয়। খরচ কমাতে গত সেপ্টেম্বরেই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ জানিয়েছিলেন কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা।
সম্প্রতিই টুইটারে যেভাবে কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে, তার পথ অনুসরণ করেই কর্মী ছাঁটাই করা হচ্ছে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইন্সটাগ্রাম সহ মেটার অধীনে থাকা একাধিক সংস্থা থেকে। তবে টুইটারে যেভাবে নির্মমভাবে কর্মীদের চাকরি খোয়ানোর কথা জানানো হয়েছিল, তা করছে না মেটা। সংস্থার ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের ইমেইল চালু রাখা হচ্ছে যাতে তারা সহকর্মীদের বিদায় জানাতে পারেন। ক্ষতিপূরণ বা সেভেরেন্স হিসাবে ১৬ সপ্তাহের বেসিক বেতন দেওয়া হবে। এছাড়াও কর্মীরা যত বছর মেটা সংস্থায় কাজ করেছেন, তার ভিত্তিতে দুই সপ্তাহের হিসাবে বেতন দেওয়া হবে। পাশাপাশি ৬ মাসের হেলথ কেয়ার কভারেজ, কেরিয়ার সার্ভিস ও ইমিগ্রেশন সাপোর্টও দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।