মেক্সিকো সিটি: ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন। সেই বিয়েতে হাজির ছিলেন প্রায় অর্ধেক শহরবাসী। প্রথা মেনেই কনেকে বিয়ে করেছেন পাত্র। আয়োজনেরও খামতি ছিল না। গান, বাজনা, নাচ- সব কিছুই হয়েছে সেই বিয়েতে। বিয়ের অনুষ্ঠানে কনেকে সকলের সামনে চুম্বনও দিয়েছেন বর। প্রচুর লোকের হইহুল্লোড়ে বিয়েবাড়ি ছিল সরগরম। তার হবে নাই বা কেন। বিয়ের পাত্র শহরের মেয়র। শহরের সবথেকে প্রভাবশালী ব্যক্তির বিয়ে জাঁক জমক হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই বিয়ের পাত্রীকে দেখলে আপনার চোখ কপালে উঠতে পারে। অবাক হয়ে আপনি ভাবতে বসে যেতে পারেন, এমন আবার হয় নাকি। কিন্তু সেই অবাক করা ঘটনা ঘটেছে মেক্সিকোর একটি ছোট্ট শহরে।
মেক্সিকোর ছোট্ট শহর সান পেদ্রো হুয়ামেলুলা। সেই শহরের বর্তমান মেয়র হলেন ভিক্টর হুগো। তিনিই সম্প্রতি বিয়ে করেছেন। তবে কোনও মেয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়নি। তাঁর বিয়ের পাত্রী ছিল একটি কুমির। কুমিরের সঙ্গে মেয়রের বিয়ে দেখতেই শহরবাসীরা হাজির হয়েছিলেন।
তবে কুমিরকে সহধর্মিনী বানানোর জন্য এই বিয়ে করেননি মেক্সিকোর ওই শহরের মেয়র। ওই অঞ্চলের এটি একটি রীতি। প্রি-হিসপ্যানিক সময় থেকেই চলে আসছে এই রীতি। সে দেশের ওয়াক্সাকা প্রদেশের ছোন্টাল এবং হুয়াভে কমিউনিটির মানুষ পালন করেন এই রীতি। শহরের সমৃদ্ধির আশায় মেয়র বিয়ে করেন একটি কুমিরকে। ওয়াক্সাকা মেক্সিকোর দক্ষিণে অবস্থিত এবং সাংস্কৃতিক দিক থেকে অন্যতম সমৃদ্ধ শহর। এই বিয়ে নিয়ে মেয়র বলেছেন, “এই বিয়ের মাধ্যমে আমরা প্রকৃতির কাছে পর্যাপ্ত বৃষ্টি, খাবার, মাছ চেয়ে থাকি।” সে জন্যই এই বিয়ে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সে জন্যই ৭ বছর বয়সী কুমিরকে বিয়ে করেছেন মেয়র ভিক্টর হুগো। ৭ বছরের ওই সরীসৃপই তাঁর ‘স্ত্রী’। বিয়ের অনুষ্ঠানে নববিবাহিতা কুমির স্ত্রীকে চুম্বনও করেছেন তিনি। কুমিরের মুখে নিজের ঠোঁট ছুইয়েছেন মেয়র। তবে কোনও রকম বিপর্যয় এড়াতে বেধে দেওয়া হয়েছিল কুমিরের মুখ। যতই হোক সে তো আর মানুষ নন, সরীসৃপ।