পঞ্জাব প্রদেশ: যত দিন যাচ্ছে, মনুষ্য সমাজের অনেক প্রতিনিধির পাশবিক আচার-আচরণ সব সীমা লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। পাকিস্তানে এমন একট ঘটনা ঘটেছে যা শুনলে আপনার চোখে জল চলে আসবে। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে (Pakistan Punjab Province) ফ্রিজ থেকে ফল বের করে খাওয়ার জন্য ১২ বছর বয়সী এক কিশোর পরিচারককে নির্যাতন করে খুন করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে মঙ্গলবার এই ঘটনার কথা সামনে এসেছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত কিশোরের নাম কামরান এবং সে একটি উচ্চবিত্ত পরিবারে পরিচারকের কাজ করত। তাঁর ৬ বছর বয়সী ছোট ভাই রিজওয়ানও সেখানেই কাজ করত। পুলিশ জানিয়েছে, কামরানের পাশাপাশি রিজওয়ানকেও মারধর করা হয়েছে এবং সে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। লাহোরের উচ্চবিত্ত ডিফেন্স হাউজিং অথোরিটি নিবাসী নাসরুল্লাহ নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে, “মঙ্গলবার নাসরুল্লাহ, তাঁর স্ত্রী এবং দুই পুত্র ও পুত্রবধু মিলে ওই দুই শিশুকে শারীরিক নির্যাতন ও মারধর করেছে। অনুমতি না নিয়ে ফ্রিজ থেকে ফল বের করে খাওয়ার কারণেই তাদের মারধর করা হয়েছে। এমনকী ছুরি দেওয় তাঁদের নির্যাতন করা হয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, দুই শিশুর অবস্থা খারাপ হতে দেখে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধ্য হয় নাসরুল্লাহ। হাসপাতালে ভর্তি করে দেওয়ার পর সেখান থেকে চম্পট দিয়েছিল সে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কামরানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। রিজওয়ানের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলেই জানা গিয়েছে।
পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হামজা শেহবাজ ব্যক্তিগতভাবে ঘটনার তদারকি করছেন এবং সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। নাসরুল্লাহ সহ পাঁচ অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই পরিবারের প্রত্যেক সদস্যরাই অকারণে ওই শিশু দুটিকে নিয়মিত নির্যাতন করত। জেরা চলাকালীন নাসরুল্লাহ স্বীকার করেছেন যে দড়ি দিয়ে বেঁধে তাদের নির্যাতন করা হয়েছে।