টেক্সাস: বাড়ি থেকেই উধাও হয়ে গিয়েছিল একরত্তি মেয়ে। আশেপাশের এলাকা থেকে গোটা শহর, কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি শিশুকন্যাকে। পুলিশও বিস্তর খোঁজাখুঁজি করে, কিন্তু মেয়েকে কোলে ফিরিয়ে দিতে ব্যর্থ হন তারাও। এরপর অপেক্ষাতেই কেটে গিয়েছে পাঁচ দশক। অবশেষে ৫১ বছর বাদে মা-বাবার সঙ্গে দেখা হল মেয়ের। ১৯৭১ সালের ২৩ অগস্ট আমেরিকার টেক্সাসের বাড়ি থেকেই আচমকা উধাও হয়ে গিয়েছিল ছোট্ট মেলিসা। তারপর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ মেলেনি। তার বেবিসিটার যিনি ছিলেন, তিনিই মেলিসাকে অপহরণ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে মেয়েকে ফিরে পাওয়ার আশা কখনও ছাড়েননি ওই দম্পতি। সত্যিই তাদের অপেক্ষা সার্থক হল। ৫১ বছর বাদে তাঁদের শূন্য কোলে ফিরে এল সন্তান।
ছোট্ট মেয়েকে দেখার জন্য প্রয়োজন ছিল একজন বিশ্বস্ত মানুষের, যার ভরসায় রেখে অফিস যেতে পারেন। সেই কারণেই বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন মেলিসার মা আলটা অ্যাপানটেনকো। সেই সময়ই তাঁর রুমমেট এক মহিলার সন্ধান দিয়েছিলেন যিনি শিশুদের দেখে রাখার কাজই করেন। পরিচিত যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছে, তাই কোনও চিন্তাভাবনা না করেই তাঁকে রেখেছিলেন কাজে। কিন্তু দুইদিন পরেই বুঝতে পারলেন কী ভুল করেছেন, বাড়ি থেকেই নিখোঁজ হয়ে গেল ছোট্ট মেলিসা।
দ্য় গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৫১ বছর পর, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই হাইস্মিথ পরিবারের এক আত্মীয় জানান, মেলিসা চার্লসটনের কাছে রয়েছে। টেক্সাসের ফোর্ট ওর্থের থেকে ১১০০ মাইল দূরে ওই এলাকা থেকে সত্য়িই মেলিসার খোঁজ মেলে। ওই মহিলা যে সত্যিই মেলিসা, তা প্রমাণ করতে ডিএনএ পরীক্ষাও করা হয়। দেখা যায়, আলটার সঙ্গে মেলিসার ডিএনএ মিলে যাচ্ছে। এছাড়া মেলিসার জন্মচিহ্ন ও জন্মতারিখও তাঁর পরিচয় প্রমাণ করতে সাহায্য করে।