বেজিং: উৎসবে অনুষ্ঠানে অথবা বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করার সময় মদ্যপান করতে অনেকেই অভ্যস্ত। জীবনের মজা চেটেপুটে উপভোগ করতে অনেকেই দু’পাত্র সুরাতে গলা ভিজিয়ে নিতে পছন্দ করেন। তবে অতিরিক্ত মদ্যপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক, এ কথা প্রায় সকলেরই জানা। বাড়ির মেয়ে নিয়মিত মদ্যপান করছে কী না তা জানতে আজব পন্থা অবলম্বন করলেন এক চিনা মহিলা। রাস্তাঘাটে মদ্যপ অবস্থায় কেউ গাড়ি চালাচ্ছে কী না, সেটা ক্ষতি দেখতে অনেক সময় ট্রাফিক পুলিশ ‘ব্রেথ অ্যানালাইজার টেস্ট’ (breathe analyzer test) করে। বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে কোনও ব্যক্তির নিঃশ্বাস প্রশ্বাস থেকে ধরা পড়ে সেই ব্যক্তি আদৌ মদ খেয়েছেন কী না। ২২ বছর বয়সী চিনা তরুণী জিনের মাও একই পদ্ধতি অবলম্বন করতেই অভ্যস্ত ছিলেন।
বন্ধুদের সঙ্গে নাইট আউট করে জিন যখন বাড়ির দরজায় এসে উপস্থিত হতেন, তাঁর মা রীতিমতো ব্রেথ অ্যানালাইজার টেস্ট করার পর তাঁকে বাড়িতে ঢোকার অনুমতি দিতেন। চিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই তথ্য সামনে আসার পর, নিমেষে ভাইরাল হয়েছে। ওই তরুণী স্বয়ং নিজের এই আজব এই অভিজ্ঞতার কথা সকলের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। ১৮ বছরের কম বয়সীদের মদ বিক্রি অথবা মদ্যপান চিনে নিষিদ্ধ। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিতে গিয়ে জিন জানিয়েছেন, “আমাকে সব সময় ব্রেথ অ্যানালাইজার টেস্টের পর মা বাড়িতে ঢুকতে দিতেন। সেই কারণে মদ খেয়ে বাড়ি ঢোকার কথা আমি স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি।”
একজন প্রাপ্তবয়স্ক তরুণীর মায়ের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ সিংহভাগ চিনা নেটিজেনরা। জিনের মায়ের বিরুদ্ধে চিনা সোশ্যাল মিডিয়া উইবোতে সরব হয়েছেন অনেকে। কারও মতে “প্রাপ্তবয়স্ক কাউকে এইভাবে শাসন করা যায়না।” কেউ আবার মনের করেন তরুণীর মায়ের এই আচরণ ‘ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ।’ কেউ কেউ আবার জিনের মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাদের মতে সন্তানকে উচ্ছন্নে যাওয়া থেকে আটকানো এবং তাঁর ভাল-মন্দের খেয়াল রাখা মায়ের দায়িত্ব।