ওয়াশিংটন: মার্কিন মুলুকে ফের একবার ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হতেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে বাংলাদেশের। কোন পথে এগোবে দুই দেশের সম্পর্ক, তা নিয়ে প্রতিদিনই রক্তচাপ বাড়ছে। বাইডেন জমানায় যা হওয়ার হয়েছে, কিন্তু ট্রাম্প যে ছেড়ে কথা বলার পাত্র নয়, তা সকলেই জানেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় ফেরার পর বাংলাদেশ সংক্রান্ত নীতিতে পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে ইউনূস সরকার এমন এক ভুল করেছে, যাতে চটে লাল ট্রাম্প প্রশাসন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুণ। কী সেই ভুল?
হাসিনার বিদায় এবং মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই একের পর এক কুখ্যাত জঙ্গি-দুষ্কৃতীকে মুক্তি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সম্প্রতিই মুক্তি দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর সৈয়দ জিয়া-উল হককেও, যিনি ২০১১ সালে বাংলাদেশে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন। আল কায়েদার সহযোগী সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলারও অন্যতম মাথা বলে মনে করা হয়। বাংলাদেশে একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলায় জিয়া-উল হকের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদত ছিল বলেই মনে করা হয়।
আল কায়েদার সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় আমেরিকার চক্ষুশূল জিয়া-উল হক। ইতিমধ্যেই তাঁর মুক্তির বিরোধিতা করেছে আমেরিকা। এবার ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরতেই বাংলাদেশের উপরে চরম পদক্ষেপ, এমনকী নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে।
প্রসঙ্গত, ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার আগে থেকেই বাংলাদেশকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরে হামলা নিয়ে। নির্বাচনী প্রচারের সময়ই ট্রাম্প বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন এবং বলেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় থাকলে এই পরিস্থিতি তৈরি হতেই দিতেন না।
এদিকে, ইউনূস সরকার নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেছে। তবে তাতে বিশেষ লাভ হবে বলে মনে করছেন না আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। এর আরও একটি কারণ হল চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের ‘দোস্তি’। চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে বাংলাদেশের অংশগ্রহণকে মোটেও ভাল চোখে দেখছে না আমেরিকা।
আমেরিকা প্রতি বছর বাংলাদেশকে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সাহায্য দেয়। বাংলাদেশের সবথেকে বড় রফতানি বাজারও আমেরিকাই। বিশেষ করে বড় বড় ব্রান্ড বাংলাদেশে পোশাক তৈরি করে, আমেরিকায় বিক্রি করে। ট্রাম্প আসার পর বিনিয়োগ ও বাণিজ্য নীতিতে একাধিক পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দিয়েছেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ বাণিজ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা ‘সীমিত’ বলেই মনে করা হচ্ছে।