ঢাকা: ‘বাংলাদেশের হিন্দুরা সুরক্ষিত’- শুক্রবার ভারত সরকারের কড়া বার্তার পরেই জানালেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সচীব শফিকুল ইসলাম। এমনকি বাংলাদেশের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে’ নাক গলানো উচিত নয় ভারতের বলে, দাবি করলেন তিনি। সিএনএন-নিউজ ১৮কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এমন কথাই বলেছেন শফিকুল ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নিরাপদ আছেন। কারও কোনও সমস্যা হচ্ছে না বলেই দাবি ইউনুসের প্রেস সচীবের।
এমনকি বাংলাদেশে ইসকনকে ‘নিষিদ্ধ’ করা হবে না বলেই আশ্বস্ত করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে হিন্দুরা এবং সংখ্যালঘুরা যে বিপন্ন তা নিয়ে বার বার সরব হতে দেখা গিয়েছে সেই দেশের সংখ্যালঘুদের। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে চিন্ময়কৃষ্ণ দাস সন্ন্যাসীর গ্রেফতারির পরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে।
চট্টগ্রাম, ঢাকা, রংপুরের বিভিন্ন অংশে বিক্ষোভ কর্মসূচী করে সংখ্যালঘুরা। চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি দেওয়ার দাবিতে পথে নামে হিন্দুরা। আদালতের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির মধ্যে পড়ে প্রাণ হারান এক মুসলিম আইনজীবি।
বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু মন্দির এবং হিন্দুদের উপরেও নেমে এসেছে একাধিক আক্রমণ। বৃহস্পতিবার চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় বাংলাদেশ হাইকোর্ট।
তারপরেই শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে আরও একবার ইউনুস সরকারের আমলে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের ঘটনার কড়া সমালোচনা করে ভারত সরকার। এর পরেই ভারত সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা আশা করব চিন্ময়কৃষ্ণ দাস সঠিক ও নিরপেক্ষ বিচার পাবেন। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার দায়িত্বও তাঁদেরই।”
এরপরেই একটি সাক্ষাৎকারে শফিকুল ইসলাম বলেন, “হিন্দুরা বাংলাদেশে সুরক্ষিত। বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রাথমিক ভাবে কিছুদিন হিংসার ঘটনা ঘটলেও এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।”
শফিকুল আরও বলেন, “এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত সরকারের এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া উচিত হয়নি। ভারতে কোথায় কী হচ্ছে, আমরা তা নিয়ে কখনও কথা বলতে যাই না।”
চট্টগ্রাম এলাকায় অশান্ত পরিবেশ নিয়েও প্রেস সচীব জানান, ইউনুস স্বয়ং সেখানে ঘুরে এসেছেন। সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কথা বলে মন্দির ঘুরে দেখেছেন।
চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির বিষয়ে শফিকুল বলেন, “মামলায় কী হয়েছে আমি জানি না। কিন্তু বাংলাদেশে ইসকন নিষিদ্ধ হবে না।”