Train Stabbing: পালানোর পথ নেই! চলন্ত ট্রেনেই একের পর এক যাত্রীকে ছুরির কোপ, রক্তারক্তি কাণ্ড
UK Train Attack: এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, এক ব্যক্তি হাতে একটা লম্বা ছুরি নিয়ে এগিয়ে আসছিল। চতুর্দিক রক্তে ভাসছিল। আতঙ্কে বাকি যাত্রীরা বাথরুমে আশ্রয় নেয়। ধাক্কাধাক্কিতে অনেকে পদপিষ্টও হয়। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ট্রেন দাঁড়াতেই স্টেশনে বড় ছুরি নিয়ে নেমে পড়েন একজন।

লন্ডন: চলন্ত ট্রেনেই ভয়ঙ্কর কাণ্ড। কামরার মেঝে ভাসল রক্তে। একাধিক ব্যক্তিকে ছুরির কোপ। বাধ্য হয়ে মাঝ পথেই দাঁড় করিয়ে দিতে হয় ট্রেন। বিরাট পুলিশ বাহিনী গিয়ে আহত যাত্রীদের বের করে আনে। সুরক্ষিতভাবে উদ্ধার করা হয় প্রাণভয়ে ট্রেনের শৌচাগারে লুকিয়ে থাকা যাত্রীদেরও। ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
লন্ডনগামী ট্রেনে শনিবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। কেমব্রিজের কাছে ওই ট্রেনে হঠাৎ আতঙ্ক ছড়ায়। যাত্রীদের উপরে ছুরি নিয়ে আক্রমণ শুরু হয়। ব্রিটিশ পুলিশ সূত্রে খবর, এক নয়, একাধিক ব্যক্তি মিলে এই হামলা চালিয়েছে। রাত ৭টা ৩৯ মিনিট নাগাদ পুলিশের কাছে ফোন আসে, ট্রেনে ছুরি নিয়ে হামলার খবর পেয়েই তারা নিকটবর্তী স্টেশন হান্টিংডনে পৌঁছয়।
Two people have been arrested after a stabbing spree on a train in Huntington, Cambridgeshire.
Reports suggests up to 10 people have been stabbed, including staff members.
This can’t be the new normal. We should be able to walk our dog, visit the bank or travel without fear. pic.twitter.com/jDgeqWJYMZ
— Chris Rose (@ArchRose90) November 1, 2025
উত্তর লন্ডন থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে এই স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াতেই সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী গিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার করে। আটক ও পরে গ্রেফতার করা হয় দুইজনকে। একাধিক যাত্রী ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন, তাদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত পুলিশ আহতের সংখ্যা না জানালেও, সূত্রের খবর কমপক্ষে ১০ জন ছুরিকাহত হয়েছেন।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, এক ব্যক্তি হাতে একটা লম্বা ছুরি নিয়ে এগিয়ে আসছিল। চতুর্দিক রক্তে ভাসছিল। আতঙ্কে বাকি যাত্রীরা বাথরুমে আশ্রয় নেয়। ধাক্কাধাক্কিতে অনেকে পদপিষ্টও হয়। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ট্রেন দাঁড়াতেই স্টেশনে বড় ছুরি নিয়ে নেমে পড়েন একজন। তবে পুলিশ সঙ্গেসঙ্গেই তাঁকে কাঁবু করে নেয়। হামলাকারীদের উদ্দেশ্য এখনও জানা যায়নি। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার।
