কায়রো: মমির দেশ হিসাবে পরিচিত মিশর (Egypt)। তা বলে মন্দিরের ভিতর ভেড়ার মমি! শুনতে আশ্চর্য লাগলেও এমনই হদিশ মিলেছে মিশরের একটি মন্দির (Temple) চত্বরে। তাও দু-চারটে নয়, ২ হাজারেরও বেশি ভেড়ার মমির (Sheep Mumies) সন্ধার মিলেছে। যা দেখে হতবাক পুরাতত্ত্ববিদেরাও। তবে কেবল ভেড়া নয়, কুকুর, ছাগল, গরু ও হরিণের মাথার মমিরও সন্ধান মিলেছে ওই মন্দিরে।
জানা গিয়েছে, মন্দির ও সমাধির জন্য বিখ্যাত দক্ষিণ মিশরের অ্যাবিডোস শহর। এই শহরেই মিশরের রাজা দ্বিতীয় ফারাও রামসেসের মন্দিরের ভিতর ২ হাজারের বেশি ভেড়া সহ কুকুর, ছাগল, গরু ও হরিণের মাথার মমিরও সন্ধান মিলেছে। নিউ ইয়র্ক শহরের মার্কিন প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি দল এই সমস্ত মমির সন্ধান পেয়েছে। তাঁদের মতে, ভেড়া সহ অন্যান্য পশুদের মাথা নৈবেদ্য হিসাবে রাজা ফ্যারাও দেওয়া হত।
ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, দ্বিতীয় রামসেসের মন্দির ও তার নির্মাণ হয়েছে ২৩৭৪ থেকে ২১৪০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৩২৩ থেকে ৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে। আর দ্বিতীয় রামসেস ১৩০৪ থেকে ১২৩৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত প্রায় ৭০ বছর মিশর শাসন করেছেন। এই মমিগুলি আবিষ্কারের ফলে এগুলি নিয়ে গবেষণার মধ্য দিয়ে প্রাক-টলোমাইক যুগের কাজকর্ম জানা যাবে বলে মনে করছেন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা।
পশুর মমি ছাড়াও প্রত্নতাত্ত্বিকেরা প্রায় ৪ হাজার বছর আগের পাঁচ মিটার পুরু (১৬ ফুট) দেওয়াল সহ একটি প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষের হদিশ পেয়েছেন। এর আগেও কায়রো থেকে ৪৩৫ কিলোমিটার দূরে নীল নদের অববাহিকায় অবস্থিত এই অ্যাবিডোস শহরে অনেক পুরোনো ভাস্কর্য, প্রাচীন গাছ, চামড়ার জামা-কাপড়, জুতো খুঁজে পেয়েছিলেন পুরাতত্ত্ববিদরা।
প্রসঙ্গত, মমির দেশ হিসাবেই পরিচিত মিশর। ফলে মিশরের অর্থনীতিতে পর্যটন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। মিশরের অর্থনীতির প্রায় ১০ শতাংশ পর্যটন থেকে আসে এবং প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ এই পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত।