Mysterious Case: ৬ বছর পর জন্মদিনের পার্টিতে নিজের ‘মৃত’ মেয়েকে খুঁজে পেলেন মা

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Apr 02, 2024 | 5:54 PM

Mysterious Case: কয়েক বছর বাদে কুয়েভাসের এক মেয়েও হয়। ভারী মিষ্টি হয়েছিল তাঁদের মেয়ে। হাসলে গালে টোলও পড়ত। সকলের আদরের ছিল পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য। মেয়ের নাম কুয়েভাস আদর করে রেখেছিল ডেলিমার ভিরা।

Mysterious Case: ৬ বছর পর জন্মদিনের পার্টিতে নিজের মৃত মেয়েকে খুঁজে পেলেন মা
মেয়ের সঙ্গে কুয়েভাস
Image Credit source: Facebook

Follow Us

নিউইয়র্ক:  ৬ বছর পর জন্মদিনের পার্টিতে নিজের ‘মৃত’ মেয়েকে খুঁজে পেলেন মা! মেট্রোয় প্রকাশিত হয়েছে একটা চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন।  পেশা ইলেট্রিক্যাল মেকানিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার বাসিন্দা। ফিলাডেলফিয়া শহরে বছর পঁচিশের স্ত্রী লস কুয়েভাস ও তাঁর দুই পুত্র সন্তানকে নিয়ে থাকতেন তিনি। কিন্তু কাজের সূত্রে তাঁকে বেশিরভাগ সময়েই বাড়ির বাইরে থাকতে হত। দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে থাকতেন কুয়েভাস। সংসার সামলাতেন তিনি। আর উপার্জনের গোটাটাই দায়িত্ব ছিল স্বামীর ওপর। পরিবারে কোনও আর্থিক সমস্যা ছিল না। দোতলার বাড়িতে ওপরের তলায় থাকত দুই সন্তান। একতলায় থাকতেন কুয়েভাস। তবে দুই ছেলে থাকা সত্ত্বেও কুয়েভাসের ইচ্ছা ছিল তাঁদের এক মেয়েও হোক।

কয়েক বছর বাদে কুয়েভাসের এক মেয়েও হয়। ভারী মিষ্টি হয়েছিল তাঁদের মেয়ে। হাসলে গালে টোলও পড়ত। সকলের আদরের ছিল পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য। মেয়ের নাম কুয়েভাস আদর করে রেখেছিল ডেলিমার ভিরা। তবে মেয়ে হওয়ার কিছুদিন পর কুয়েভাসরা তাঁদের বাড়ি বদলান।

নতুন বাড়িতে মেয়ের জন্মদিনের পার্টি রেখেছিলেন কুয়েভাস। তাঁদের নতুন বাড়িতে আত্মীয় পরিজনরা আমন্ত্রিত ছিলেন। সন্ধ্যা দারুণ কাটে তাঁদের। রাতের খাবার সেরে তখন সকলে বাড়ি ফিরে যান। দুই ছেলে ও মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে ঘরের কাজ করছিলেন কুয়েভাস। বাড়িতে থেকে গিয়েছিলেন কুয়েভাসেরই এক বান্ধবী। তাঁরা যখন কাজ করছিলেন. দোতলায় ভারী কিছু শব্দ শুনতে পান তাঁরা। পরে দৌড়ে তাঁরা সেখানে গিয়ে দেখেন, একটি ঘর থেকে আগুনের শিখা বেরিয়ে আসতে। দ্রুত দুই ছেলেকে ঘর থেকে বার করে নীচে পাঠিয়ে দেন কুয়েভাস। পরে দেখা যায়, ডেলিমারের ঘর দাউ দাউ করে জ্বলছে। যখন কোনওভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়, ঘরের ভিতরে ঢোকেন কুয়েভাস। কিন্তু মেয়েকে কোথাও খুঁজে পাননা । কেবল পুড়ে যায় তার দোলনা দেখতে পান।

তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখে জানিয়ে দেন, আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে ডেলিমারের। ঘরের ভিতর মানুষের চামড়া পোড়ারও প্রমাণ পান তদন্তকারীরা। জানা যায়, হিটার থেকেই আগুন লেগেছিল সেই রাতে বাড়িতে। কেস ক্লোজ হয়ে যায়। কিন্তু মেয়ের মৃত্যু হয়েছে, এটা কোনওভাবে মনে করেন না কুয়েভাস। স্বামীর সঙ্গে নিত্য তার অশান্তি হতে থাকে। এরপর তাঁদের ডিভোর্সও হয়ে যায়। এই ঘটনার ৬ বছর বাদে কুয়েভাস একটি জন্মদিনের পার্টিতে যান। সেখানে একটি মেয়েকে দেখে তাঁর মনে হয়, এটাই তাঁর ডেলিমার। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, শিশুটির নাম ক্যারোলিনা। বুদ্ধি করে তাঁর মাথা থেকে কয়েকটা চুল নিয়ে নেয়, ডিএনএ টেস্টের জন্য। কিন্তু পুলিশের কাছ থেকে বিশেষ সহযোগিতা পাননি তিনি। পরে এক নেতার সাহায্যে এই কেসটা আবারও তদন্ত শুরু হয়।

ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট বলে দেয়, ক্যারোলিনাই তাঁর ডেলিমার। তদন্তে জানা যায়, যে বান্ধবী ওই রাতে কুয়েভাসকে সাহায্য করার নামে থেকে গিয়েছিলেন, তিনিই আসলে ডেলিমারকে চুরি করেছিলেন। কারণ তাঁর কোনও সন্তান হচ্ছিল না। তিনি ঘরেই আগুন ধরিয়েছিলেন। আর আগুন ধরানোর আগে ডেলিমারকে ঘরের বাইরে রেখে এসেছিলেন। ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Next Article