পোল্যান্ড: রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের মাঝে পোল্যান্ডে মিসাইল আছড়ে পড়তেই সকলেই অভিযোগের আঙুল তুলেছিল রাশিয়ার দিকে। কিন্তু দিন গড়াতেই জানা গেল, রাশিয়া নয়, বরং ইউক্রেনই ছুঁড়েছিল মিসাইল। তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে, রাশিয়ার যুদ্ধ বিমানকে রুখতেই মিসাইল ছুড়েছিল ইউক্রেন। কিন্তু হিসাবের ভুল হওয়ায়, তা আছড়ে পড়ে পোল্যান্ডের প্রজ়েউডো গ্রামে। মিসাইলের আঘাতে দুইজনের মৃত্যুও হয়। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের মাঝে এই প্রথম ন্যাটো অন্তর্ভুক্ত কোনও দেশে মিসাইল হামলা হল। তবে এই হামলা যে ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়নি, তা স্বীকার করে নিয়েছে পোল্যান্ডও। বুধবারই সে দেশের তরফে জানানো হয়, প্রজ়েউডো গ্রামে মিসাইলের আঘাতে যে দুইজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত।
পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ় দুদা বিবৃতি জারি করে জানান, ন্যাটো অন্তর্ভুক্ত সদস্য দেশ পোল্য়ান্ডে ইচ্ছাকৃতভাবে মিসাইল হামলা চালানো হয়েছে, এমন কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেন রাশিয়ার আকাশপথে হামলা রুখতেই মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছিল। সেই মিসাইলগুলির মধ্যেই কোনও একটি দুর্ভাগ্যজনকভাবে পোল্য়ান্ডে এসে পড়ে।
অন্য়দিকে, ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেন্স স্টোলেনবার্গ বলেন, “পোল্যান্ডের উপর ইচ্ছাকৃতভাবে হামলা করা হয়েছে, এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। বর্তমানে এই বিষয় নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে বিষয়টির সম্পূর্ণ সত্যতা জানা যাবে। তবে এখনও অবধি ইচ্ছাকৃতভাবে হামলা চালানোর কোনও প্রমাণ মেলেনি।”
মঙ্গলবার রাতে পোল্যান্ডের প্রজ়েউডো গ্রামে মিসাইল আছড়ে পড়ার পরই উদ্বেগ প্রকাশ করে গোটা বিশ্ব। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০-র সম্মেলনে উপস্থিত সদস্য দেশগুলি বৈঠক করে। জি-৭ ও ন্যাটোর সদস্য দেশগুলির মধ্য়েও আলাদাভাবে বৈঠক করা হয়।
রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আমেরিকা ইউক্রেনকেই সমর্থন জানালেও, গতকাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও পোল্য়ান্ডে মিসাইল হামলার জন্য সরাসরি রাশিয়াকে দোষারোপ করতে অস্বীকার করেন। বাইডেন বলেন, “রাশিয়াই এই মিসাইল ছুড়েছিল, এর সম্ভাবনা খুবই কম। গোটা বিষয়ের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত না হওয়া অবধি এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না আমি।”