Nepal Plane Crash: দেহ এতটাই ঝলসে গিয়েছে যে চেনার জো নেই! বিমানের ২২ জনই মৃত, জানাল প্রশাসন

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

May 30, 2022 | 1:56 PM

Nepal Plane Crash: সেনাবাহিনীর তরফে জানিয়ে দেওয়া হল যে, নেপালের বিমান দুর্ঘটনায় আর কেউ বেঁচে নেই। ইতিমধ্যেই ১৪ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

Nepal Plane Crash: দেহ এতটাই ঝলসে গিয়েছে যে চেনার জো নেই! বিমানের ২২ জনই মৃত, জানাল প্রশাসন
দুর্ঘটনাগ্রস্থ বিমানটি। ছবি: PTI

Follow Us

কাঠমাণ্ডু: সকালে উদ্ধারকাজ শুরু হওয়ার পরই জানানো হয়েছিল, বিমানযাত্রীদের বাঁচার আশা ক্ষীণ। বেলা গড়াতেই সেই আশঙ্কা সত্যি হল। সেনাবাহিনীর তরফে জানিয়ে দেওয়া হল যে, নেপালের বিমান দুর্ঘটনায় আর কেউ বেঁচে নেই। ইতিমধ্যেই ১৪ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে। কীভাবে বিমানটি ভেঙে পড়ল, তাও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।

  1. . রবিবার সকালে ১৯ জন যাত্রী ও ৩ ক্রু সদস্য় নিয়ে নেপালের পোখরা থেকে জমসমের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল তারা এয়ারলাইনের বিমান। জমসমে অবতরণ করার ১৫ মিনিট আগে হঠাৎ বিমানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
  2. বিমানের পাইলটের মোবাইলের সিগন্যালের মাধ্যমেই জানা গিয়েছিল যে বিমানটি জমসমের কাছে মুস্তাং জেলায় কোথাও ভেঙে পড়েছে বিমানটি। এ দিন সকালে নেপালের সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়, বিমানের ক্র্যাশ সাইটের খোঁজ মিলেছে। মুস্তাং জেলার কোয়াং গ্রামের কাছে থাসাং-২ তে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।
  3. গতকাল থকে উদ্ধারকাজ শুরু করা হলেও, খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। এ দিন সকাল থেকে ফের উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়। সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ফের আবহাওয়া খারাপ হতে শুরু করেছে। তুষারঝড় শুরু হয়েছে। এরফলে উদ্ধারকাজ ফের বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে।
  4. স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিমান দুর্ঘটনায় কেউ বেঁচে নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে কারোরই বাঁচার সম্ভাবনা নেই। ইতিমধ্যেই ১৪ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মুস্তাংয়ের থাসাংয়ে ১৪ হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতা থেকে ওই দেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলে ১০০ মিটারের মধ্যেই দেহগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল। বাকিদেরও খোঁজ করা হচ্ছে। তবে সরকারিভাবে এখনও কোনও বিবৃতি পেশ করা হয়েছে।
  5. যে ১৪ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে অধিকাংশেরই চিহ্নিতকরণ সম্ভব হচ্ছে না। আবহাওয়া একটু শুধরালে দেহগুলিকে হেলিকপ্টারে করে পোখরায় ফিরিয়ে আনা হবে। সেখানেই চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করা হবে।
  6. এর আগে ২০১২ সালের ১৪ মে একইভাবে জমসম বিমানবন্দরের কাছেই একটি যাত্রীবাহী বিমান ভেঙে পড়েছিল। অগ্নি এয়ারলাইনের ওই বিমানটিও পোখরা থেকেই যাত্রা শুরু করেছিল। বিমানে ১৮ জন যাত্রী, ২ জন পাইলট ও একজন ক্রু সদস্য ছিলেন।
Next Article