Finland: পরপুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় নাচছেন ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী, ফের ফাঁস বিস্ফোরক ভিডিয়ো

হেলসিঙ্কি: ফের বিতর্কে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন। চলতি সপ্তাহের শুরুতে একটি ফাঁস হওয়া ভিডিয়োতে, তাঁকে এক পার্টিতে উদ্দাম নাচতে দেখা গিয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল ওই পার্টিতে তিনি মাদকের প্রভাবে নাচছিলেন। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই সামনে এল আরও একটি ভিডিয়ো। যে ভিডিয়োতে তাঁকে অজ্ঞাত এক পুরুষের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে নাচতে দেখা যাচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে, ভিডিয়োটিতে একটি ক্লাবে তোলা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিয়োটি রাজনৈতিক মহলে আরও বড় সমালোচনার ঝড় তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে।

‘ইউরোনিউজ’ সংবাদ সংস্থার পক্ষ থেকে টুইট করে বলা হয়েছে, “ফাঁস হওয়া ভিডিয়োতে তাঁকে বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করতে দেখা যাওয়ার একদিন পর, তাঁর স্বামী নন এমন এক পুরুষের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সানা মারিনের ঘনিষ্ঠভাবে নাচার একটি নতুন ভিডিও আবির্ভূত হয়েছে। এর জন্য মারিনকে (রাজনৈতিক মহলে) বিরূপ প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়তে হলেও, দেশে-বিদেশে ভিডিওগুলির প্রতিক্রিয়া ব্যাপকভাবে ইতিবাচক ছিল।”

প্রথম ফাঁস হওয়া ভিডিওতে বেশ কয়েকজন ফিনিশ সেলিব্রিটির সঙ্গে উদ্দাম নাচতে দেখা গিয়েছিল ফিনল্যান্ডের ৩৬ বছরের প্রধানমন্ত্রীকে। অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন, যে তিনি মাদকের প্রভাবে ছিলেন। এর জন্য তাঁর মাদক পরীক্ষার দাবিও উঠেছিল। মাদক সেবনের অভিযোগ অস্বীকার করলেও, শুক্রবারই (১৯ আগস্ট) মারিন জানিয়েছেন যে তিনি মাদকের পরীক্ষা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি কখনও নিষিদ্ধ মাদক ব্যবহার করিনি। পার্টিতে কাউকে মাদক সেবন করতেও দেখিনি। এই অভিযোগগুলিকে আমি অত্যন্ত গুরুতর বলে মনে করি। কারোর সন্দেহ দূর করার জন্য মাদক পরীক্ষার দাবিটিকে আমি অন্যায্য বলে মনে করি। তবে, আমি নিজের আইনি সুরক্ষার জন্য আজ একটি মাদকের পরীক্ষা দিয়েছি, যার ফলাফল আসবে প্রায় এক সপ্তাহ পর।”

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে, তৎকালীন সর্বকনিষ্ঠ রাষ্ট্রনেতা হিসেবে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন সানা মারিন। তারপর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। কোভিড আক্রান্ত মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার কয়েক ঘণ্টা পরই তাঁকে দেখা গিয়েছে ক্লাবে পার্টি করতে। সাক্ষাতকার দেওয়ার সময় হাজির হয়েছেন ঊর্ধ্বাঙ্গে শুধুমাত্র ব্লেজার পরে, নীচে আর কোনও পোশাক ছিল না। পার্টির ভিডিয়োটি ছিল তাতে নতুন সংযোজন। অনেকেই অবশ্য প্রধানমন্ত্রী পদের কঠিন দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি একটি সক্রিয় ব্যক্তিগত জীবন যাপনের জন্য মারিনের প্রশংসা করে থাকেন। বিশেষ করে তরুণ প্রদন্মের মধ্যে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। তবে, তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা বলেছেন, ভিডিয়োগুলি প্রকাশ করা হবে না এমন প্রতিশ্রুতি দিলেও, তাঁর ওই অবস্থায় চিত্রগ্রহণের অনুমতি দেওয়া উচিত হয়নি।