সিডনি: ইস্তফা দিতে চলেছেন নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডেন (Jacinda Ardern)। আজ, বৃহস্পতিবারই তিনি ঘোষণা করলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেবেন তিনি। আগামী মাসেই জমা দেবেন ইস্তফা পত্র (Resignation)। পরবর্তী সময়ে তিনি আর নির্বাচনে লড়বেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি। এ দিন তিনি নিজের দল লেবার পার্টির বৈঠকে বলেন, “আমার মতে, সময় হয়ে গিয়েছে। আগামী চার বছর টেনে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা নেই আমার।” জাসিন্ডা জানান, সাউথ প্যাসিফিক নেশনের নেতা হিসাবে পাঁচ বছর পূর্ণ হতেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। জানা গিয়েছে, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেবেন জাসিন্ডা। লেবার পার্টি আগামী ২২ জানুয়ারি নিজেদের পরবর্তী দলনেতৃত্বকে বেছে নেবে।
এ দিনের বৈঠকে তিনি জানান, আগামী ১৪ অক্টোবর সাধারণ নির্বাচন রয়েছে। ততদিন অবধি তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। তবে পরবর্তী এই নির্বাচনে তিনি অংশ নেবেন না। জাসিন্ডা বলেন, “এই গ্রীষ্মে, আমি ভেবেছিলাম শুধু এক বছরের জন্যই নয়, বরং আরও একটি মেয়াদ পূরণ করার জন্য় প্রস্তুতি নেব। কিন্তু আমি তা করতে পারিনি। আগামী চার বছর এভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।”
চোখে জল নিয়েই আর্ডেন জানান, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে গত সাড়ে পাঁচ বছর অত্যন্ত কঠিন ছিল। তিনি বলেন, “আমিও মানুষ। আমার সময় এসেছে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে আসার। আমি জানি এই সিদ্ধান্তের পর অনেক আলোচনা-সমালোচনা হবে। আমার ইস্তফা দেওয়ার আসল কারণ কী, সে বিষয়ে অনেক আলোচনা হবে। তবে আমি এইটুকুই বলতে পারি যে একটাই আগ্রহের বিষয় খুঁজে পাবেন আপনারা, তা হল ৬ বছর ধরে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার পর আমিও মানুষ। রাজনীতিবিদরাও মানুষ। আমাদের পক্ষে যতটা সম্ভব, যতদিন সম্ভব, পরিষেবা দিই। এখন আমার সময় এসেছে সরে দাঁড়ানোর। এটা ভাববেন না যে নির্বাচনে জয়ী হতে পারব না বলে আমি সরে দাঁড়াচ্ছি, কারণ আমার বিশ্বাস আমরা জিতব।”
প্রসঙ্গত, জাসিন্ডা আর্ডন ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হন। তিনিই নিউজিল্যান্ডের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিন বছর বাদে তিনি জোট ভেঙে নিজের দল, লেবার পার্টির নেতৃত্বে সরকার গঠন করেন। তিনিই পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হন। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরেই জাসিন্ডা ও তাঁর দলের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে।