ওয়াশিংটন: ফের একবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব নেবেন ট্রাম্প। তবে সত্যিই কি তিনি আমেরিকাকে নেতৃত্ব দেবেন? নাকি ট্রাম্পকে হাতের পুতুল বানিয়ে আড়াল থেকে দেশ পরিচালন করবেন বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক (Elon Musk)? এমনটাই গুঞ্জন-জল্পনা শুরু হয়েছে একটি ঘটনার পর।
নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পরই ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন যে আর কোনও যুদ্ধ হতে দেবেন না। সেই লক্ষ্যেই তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ফোন করেছিলেন ট্রাম্প। তবে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের কথার মাঝে ঢুকে পড়লেন তৃতীয় ব্যক্তি। তিনি আর কেউ নন, ইলন মাস্ক।
ফ্লোরিডায় নিজের বাসভবন তথা বিলাসবহুল রিসর্ট মার-এ-লাগো থেকেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ফোন করেছিলেন ট্রাম্প। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ইলন মাস্কও। জানা গিয়েছে, বার্তালাপের মাঝখানে ইলন মাস্ককে ফোন ধরিয়ে দেন ট্রাম্প। এরপরে জেলেনস্কির সঙ্গে প্রায় ২৫ মিনিট কথা বলেন টেসলা ও স্পেস এক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক।
শোনা যাচ্ছে, স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইউক্রেনকে সাহায্য জারি রাখার আশ্বাস দিয়েছেন ইলন মাস্ক। আমেরিকার নীতি নিয়ে বা যুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন নিয়ে মাস্ক-জেলেনস্কির মধ্যে কোনও কথা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে জানা না গেলেও, দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলাপচারিতায় ইলন মাস্কেরও সামিল হওয়ার ঘটনাকে ভাল চোখে দেখছেন না অনেকেই।
জল্পনা শোনা যাচ্ছে, ইলন মাস্ককে বড় কোনও প্রশাসনিক পদ দিতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে যেভাবে সাহায্য করেছেন ইলন মাস্ক, তা সকলের জানা। ট্রাম্প নিজেও এ কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। বিজয়ী ভাষণেই তিনি ইলন মাস্ককে ‘আই লাভ ইউ’ বলেন। এখন জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনাতেও ইলন মাস্ককে ফোন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা সেই ইঙ্গিত আরও স্পষ্ট করছে।