২৪ ঘণ্টায় সিদ্ধান্ত বদল, নোবেল পুরস্কার অনুষ্ঠান থেকে বাদ রাশিয়া-বেলারুশ-ইরান
Nobel Foundation Russia: শনিবার, রাশিয়া, বেলারুশ এবং ইরানকে পাঠানো আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করে নিল নোবেল ফাউন্ডেশন। একদিন আগে তিন দেশকেই এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নোবেল ফাউন্ডেশন।

স্টকহোম: স্টকহোমে চলতি বছরের নোবেল পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে দেখা যাবে না রাশিয়াকে। শনিবার, রাশিয়া, বেলারুশ এবং ইরানকে পাঠানো আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করে নিল নোবেল ফাউন্ডেশন। একদিন আগে তিন দেশকেই এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নোবেল ফাউন্ডেশন। সেই নিয়ে তীব্র অসন্তোষের মুখে, সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করল নোবেল ফাউন্ডেশন। তাদের প্রাথমিক আমন্ত্রণের জোরালো প্রতিক্রিয়া এসেছে জানিয়ে নোবেল ফাউন্ডেশন বলেছে, নোবেল পুরস্কারের মূল্যবোধ বোঝানোর প্রয়োজনেই এই সিদ্ধান্ত বদল করা হল। গত বছরও, ইউক্রেন সংঘাত এবং অভ্যন্তরীণ বিরোধী কন্ঠকে দমন করা-সহ বিভিন্ন কারণে রাশিয়া, বেলারুশ এবং ইরানের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ না জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নোবেল ফাউন্ডেশন। তবে, এই বছর সকল দেশের প্রতিনিধিদেরই আমন্ত্রণ জানিয়েছিল সুইডেন। এরপরই পশ্চিমী দেশগুলিতে ক্ষোভ ও বিতর্ক তৈরি হয়।
ক্রমবর্ধমান সমালোচনার মুখে দ্রুত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করল নোবেল ফাউন্ডেশন। এই অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্ত বদলে অবশ্য নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নোবেল পুরস্কারের ভূমিকা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। মজার বিষয় হল, সুইডেনের নোবেল ফাউন্ডেশন রাশিয়া, বেলারুশ এবং ইরানকে আমন্ত্রণ না জানানোর সিদ্ধান্ত নিলেও, ভিন্ন পথ নিয়েছে অসলোর নরওয়েইয়ান নোবেল ইনস্টিটিউট। নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদান করে এই প্রতিষ্ঠান। ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা নির্বিশেষে সকল দেশের প্রতিনিধিদেরই সেই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর ঐতিহ্য ধরে রেখেছে তারা। স্টকহোম এবং অসলো ভিন্ন পথে হাঁটায়, নোবেল ফাউন্ডেশনের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত বদলকে ঘিরে বিতর্ককে আরও উসকে উঠেছে।
স্বাভাবিকভাবেই নোবেল ফাউন্ডেশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ইউক্রেন। কিয়েভের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপকে ‘মানবতাবাদের বিজয়’ বলা হয়েছে। ইউক্রেনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওলেগ নিকোলেঙ্কো সোশ্য়াল মিডিয়ায় লিখেছেন, “ন্যায়বিচার পুনরুদ্ধারের দাবি জানানো প্রত্যেককে আমরা ধন্যবাদ জানাই। আমাদের মতে, রাশিয়া এবং বেলারুশের রাষ্ট্রদূতদের আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে অসলোরও একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।” নোবেল ফাউন্ডেশনের সিদ্ধান্ত বদলের বিষয়ে এখনও মস্কো থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি।
