মস্কো: ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে বন্ধুর পাশে থাকতে রাশিয়ায় সেনা পাঠিয়েছিলেন কিম-জং-উন। যদিও রাশিয়া কখনও সেকথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি। কিমের দেশে সেই সেনাদের নিয়েই নাকি কুরুক্ষেত্রে কান্ড শুরু হয়েছে। যুদ্ধক্ষেত্রে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছিল রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার সেনা। হঠাত্ করেই নাকি রুশ সেনার উপর গুলি চালিয়ে দেয় কিমের সেনা। কিমের সেনা গুলি চালানোয় প্রাণ বাঁচাতে রুশ সেনাকেও গুলি চালাতে হয়। অর্থাত্ ইউক্রেনকে ভুলে গিয়ে রাশিয়ার মাটিতেই রক্তারক্তি লড়াই।
একেবারে অবিশ্বাস্য, অভাবনীয় ব্যাপার। ঘটনায় পুতিন নাকি চটে কাঁই। কিমকে ফোন করে বেশ কড়া কড়া কথা শুনিয়েও দিয়েছেন। ইউক্রেনের গোয়েন্দা দফতর এসব দাবি করছে। তাঁদের আরও দাবি, গত ১৪ ডিসেম্বর কুরস্কে এইসব কাণ্ড হয়। রুশ সেনার আখমত ইউনিটের সদস্যরা সাঁজোয়া গাড়িতে যাওয়ার সময় তাঁদের উপর হামলা করে কিমের সেনা। গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন আট রুশ সেনা। রাশিয়ার সেনাও গোলাগুলি চালিয়েছে। তাতে উত্তর কোরিয়ার সেনার মৃত্যু হয়েছে কি না স্পষ্ট নয়। তবে এই সুযোগে ইউক্রেনের সেনাও নাকি রুশ-উত্তর কোরিয়ার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এতে নাকি রাশিয়ার বেশ ভালরকম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্তত ২০০ রুশ সেনার মৃত্যু হয়। ঘটনাটা অবশ্যই ঘটেছে। তবে ২০০ রুশ সেনার মৃত্যুর দাবি সম্ভবত ঠিক নয়।
পুতিনের পাশে থাকার বার্তা দিয়েই তো রাশিয়ায় সেনা পাঠিয়েছিলেন কিম। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম অন্তত তেমনই দাবি করেছিল। কিমের সেনা হঠাত্ করে সহযোগীর উপর গুলি চালাতে গেল কেন? রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমের একটা অংশের দাবি, বিষয়টা আর কিছুই নয়, ভ্রান্তিবিলাস। উত্তর কোরিয়ার সেনারা সম্ভবত রাশিয়ার সেনাকে , ইউক্রেন সেনা ভেবে নিয়েছিল। যুদ্ধক্ষেত্রে তো এমন হতেই পারে। যুদ্ধ হবে আর কো-লেটারাল ড্যামেজ হবে না, তাও কী হয়? সুতরাং একে কো-ল্যাটারাল ড্যামেজ বলেই ধরা হতো। এক্ষেত্রে কিন্তু সেটা হয়নি। কেন হয়নি?
রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ পত্রিকা দ্য রিখটের দাবি, যখন এই ঘটনা ঘটে, তখন কিমের সেনা একেবারেই তৈরি ছিল না। তাঁদের সঙ্গে থাকা পিক্সি বক্সগুলোও অফ ছিল। উত্তর কোরিয়ার সেনারা যাতে রুশ সেনাদের সঙ্গে কথাবার্তা চালাতে পারে, সেজন্য এই পিক্সি বক্সগুলো দেওয়া হয়েছিল। এটা আসলে অনুবাদকের কাজ করে। সেই বক্সগুলো অফ থাকায় কিমের সেনারা রুশ সেনার সিগন্যাল ধরতেই পারেনি। যুদ্ধক্ষেত্রে ক্ষমার অযোগ্য ভুল। আর এই ভুলের জন্যই হাড়ে চটেছেন পুতিন। এদিন ইয়ার ইন্ড ইভেন্টে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। সেখানেও উত্তর কোরিয়া নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। কিমকে শুধু ভাল বন্ধু বলে উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তবে দীর্ঘ সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর তিনটি বক্তব্য দুনিয়ার নজর কেড়েছে।
প্রথমত, হাইওয়ে ওর মাই ইয়ে নীতি থেকে রাশিয়া সরছে না। পুতিন বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি ইউক্রেনের সঙ্গে সমঝোতায় রাজি। তবে দখল করার এলাকা ফিরে পাওয়ার আশা ছাড়তে হবে জেলেনস্কিকে। দ্বিতীয়ত, ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলোচনা এমনকি ইউক্রেন নিয়ে আলোচনাতেও পুতিন তৈরি। তৃতীয়ত, ন্যাটোর তরফে প্ররোচনা এলে নিজেদের হাতে থাকা সেরা অস্ত্র প্রয়োগ করতে দুবার ভাববে না রাশিয়া। পুতিন মনে করিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে তিনি সব শক্তি দেখাননি। অনেক তাসই লুকিয়ে রেখেছেন, সঠিক সময়ের জন্য।
মস্কো: ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে বন্ধুর পাশে থাকতে রাশিয়ায় সেনা পাঠিয়েছিলেন কিম-জং-উন। যদিও রাশিয়া কখনও সেকথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি। কিমের দেশে সেই সেনাদের নিয়েই নাকি কুরুক্ষেত্রে কান্ড শুরু হয়েছে। যুদ্ধক্ষেত্রে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছিল রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার সেনা। হঠাত্ করেই নাকি রুশ সেনার উপর গুলি চালিয়ে দেয় কিমের সেনা। কিমের সেনা গুলি চালানোয় প্রাণ বাঁচাতে রুশ সেনাকেও গুলি চালাতে হয়। অর্থাত্ ইউক্রেনকে ভুলে গিয়ে রাশিয়ার মাটিতেই রক্তারক্তি লড়াই।
একেবারে অবিশ্বাস্য, অভাবনীয় ব্যাপার। ঘটনায় পুতিন নাকি চটে কাঁই। কিমকে ফোন করে বেশ কড়া কড়া কথা শুনিয়েও দিয়েছেন। ইউক্রেনের গোয়েন্দা দফতর এসব দাবি করছে। তাঁদের আরও দাবি, গত ১৪ ডিসেম্বর কুরস্কে এইসব কাণ্ড হয়। রুশ সেনার আখমত ইউনিটের সদস্যরা সাঁজোয়া গাড়িতে যাওয়ার সময় তাঁদের উপর হামলা করে কিমের সেনা। গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন আট রুশ সেনা। রাশিয়ার সেনাও গোলাগুলি চালিয়েছে। তাতে উত্তর কোরিয়ার সেনার মৃত্যু হয়েছে কি না স্পষ্ট নয়। তবে এই সুযোগে ইউক্রেনের সেনাও নাকি রুশ-উত্তর কোরিয়ার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এতে নাকি রাশিয়ার বেশ ভালরকম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্তত ২০০ রুশ সেনার মৃত্যু হয়। ঘটনাটা অবশ্যই ঘটেছে। তবে ২০০ রুশ সেনার মৃত্যুর দাবি সম্ভবত ঠিক নয়।
পুতিনের পাশে থাকার বার্তা দিয়েই তো রাশিয়ায় সেনা পাঠিয়েছিলেন কিম। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম অন্তত তেমনই দাবি করেছিল। কিমের সেনা হঠাত্ করে সহযোগীর উপর গুলি চালাতে গেল কেন? রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমের একটা অংশের দাবি, বিষয়টা আর কিছুই নয়, ভ্রান্তিবিলাস। উত্তর কোরিয়ার সেনারা সম্ভবত রাশিয়ার সেনাকে , ইউক্রেন সেনা ভেবে নিয়েছিল। যুদ্ধক্ষেত্রে তো এমন হতেই পারে। যুদ্ধ হবে আর কো-লেটারাল ড্যামেজ হবে না, তাও কী হয়? সুতরাং একে কো-ল্যাটারাল ড্যামেজ বলেই ধরা হতো। এক্ষেত্রে কিন্তু সেটা হয়নি। কেন হয়নি?
রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ পত্রিকা দ্য রিখটের দাবি, যখন এই ঘটনা ঘটে, তখন কিমের সেনা একেবারেই তৈরি ছিল না। তাঁদের সঙ্গে থাকা পিক্সি বক্সগুলোও অফ ছিল। উত্তর কোরিয়ার সেনারা যাতে রুশ সেনাদের সঙ্গে কথাবার্তা চালাতে পারে, সেজন্য এই পিক্সি বক্সগুলো দেওয়া হয়েছিল। এটা আসলে অনুবাদকের কাজ করে। সেই বক্সগুলো অফ থাকায় কিমের সেনারা রুশ সেনার সিগন্যাল ধরতেই পারেনি। যুদ্ধক্ষেত্রে ক্ষমার অযোগ্য ভুল। আর এই ভুলের জন্যই হাড়ে চটেছেন পুতিন। এদিন ইয়ার ইন্ড ইভেন্টে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। সেখানেও উত্তর কোরিয়া নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। কিমকে শুধু ভাল বন্ধু বলে উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তবে দীর্ঘ সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর তিনটি বক্তব্য দুনিয়ার নজর কেড়েছে।
প্রথমত, হাইওয়ে ওর মাই ইয়ে নীতি থেকে রাশিয়া সরছে না। পুতিন বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি ইউক্রেনের সঙ্গে সমঝোতায় রাজি। তবে দখল করার এলাকা ফিরে পাওয়ার আশা ছাড়তে হবে জেলেনস্কিকে। দ্বিতীয়ত, ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলোচনা এমনকি ইউক্রেন নিয়ে আলোচনাতেও পুতিন তৈরি। তৃতীয়ত, ন্যাটোর তরফে প্ররোচনা এলে নিজেদের হাতে থাকা সেরা অস্ত্র প্রয়োগ করতে দুবার ভাববে না রাশিয়া। পুতিন মনে করিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে তিনি সব শক্তি দেখাননি। অনেক তাসই লুকিয়ে রেখেছেন, সঠিক সময়ের জন্য।