খার্তুম / নয়া দিল্লি: অপারেশন কাবেরীর আওতায় এখনও পর্যন্ত যুদ্ধ বিধ্বস্ত সুদান থেকে প্রায় ১৪০০ ভারতীয় নিরাপদ এলাকায় উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সোমবার (১ মে), এই বিষয়ে টুইট করে জানিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। টুইটে বায়ু সেনা লিখেছে, “ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানে করে, গত কয়েক দিনে প্রায় ১৪০০ ভারতীয়কে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। দুটি সি-১৩০ জে বিমানে ২৬০ জনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যাঁদের মধ্যে ৯০ বছর থেকে শুরু করে ১০২ বছর বয়সী প্রবীণ নাগরিকরাও আছেন।” সোমবারও, সুদান থেকে মোট ১৮৬ জন ভারতীয় কেরলের কোচি শহরে এসে পৌঁছেছেন। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি টুইট করে জানান, “ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য চলছে অপারেশন কাবেরী। ১৮৬ জন যাত্রী নিয়ে উড়ানটি কোচিতে নেমেছে।” এর আগে রবিবার, ভারতের বিদেশমন্ত্রী ডা. এস জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, প্রায় ২৩০০ ভারতীয় নাগরিক ইতিমধ্য়েই ভারতে এসে পৌঁছেছেন।
সব মিলিয়ে প্রায় ৩,০০০ ভারতীয় নাগরিক ও ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে যুদ্ধ-ধ্বস্ত সুদান থেকে সরিয়ে নিয়ে আসার প্রস্তুতি নিয়েছে ভারত সরকার। এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২৫০০ জনকে সফলভাবে সরিয়ে আনা হয়েছে। সোমবার, আরও তিনটি ফ্লাইট সুদান থেকে যথাক্রমে ২২৯, ২৮৮ এবং ১৩৫ ভারতীয় নাগরিককে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে তীব্র সশস্ত্র যুদ্ধ চলছে। প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর, ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে যৌথভাবে দেশ চালাচ্ছিল দুই পক্ষ। একটি সার্বভৌম কাউন্সিল গঠন করা হয়েছিল। এই কাউন্সিলের নেতৃত্বে ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরগান এবং তাঁর সহকারী হয়েছিলেন আধাসামরিক বাহিনীর প্রধান, জেনারেল মহম্মদ হামদান দাগলো।
#OperationKaveri Update.
With almost 1400 Indians evacuated in IAF aircraft over the past few days, two C-130 J aircraft have evacuated 260 personnel including elders who were above 90 years of age & one above 102 years of age.#HarKaamDeshKeNaam pic.twitter.com/Chuo1DBCtu
— Indian Air Force (@IAF_MCC) May 1, 2023
১৫ এপ্রিল, জেনারেল দাগালো এবং জেনারেল ফাত্তাহর বাহিনীর মধ্যে প্রথম যুদ্ধ বেধেছিল। তারপর থেকে দুই পক্ষে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। ১৫ এপ্রিলের পর থেকে অন্তত তিনবার দুই পক্ষই যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত হয়েছে। কিন্তু, কার্যক্ষেত্রে যুদ্ধবিরতি দেখা যায়নি। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য একে অপরকে অভিযুক্ত করেছে সেনা ও আধাসেনা। রবিবারও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য একে অপরকে অভিযুক্ত করেছে তারা। রবিবার মধ্যরাতে এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। আরও ৭২ ঘণ্টার জন্য এর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তবে, তাতে কতটা কাজ হবে, তার নিশ্চয়তা কোনও পক্ষই দিতে পারছে না। গৃহযুদ্ধের মধ্য়েই জেল ভাঙ্গার খবরও এসেছে। কোনও এক পক্ষ রাজধানী খার্তুমের নিয়ন্ত্রণ না নেওয়া পর্যন্ত এই গৃহযুদ্ধ চলবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।