ফ্রান্সের ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’, মালিতে খতম ৫০-র বেশি জঙ্গি

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Nov 27, 2020 | 1:18 PM

শুক্রবার বুরকিনা ফাসো ও নাইগার সীমান্ত অঞ্চলে বিমান হামলা চালানো হয়। দীর্ঘদিন ধরেই এই অঞ্চলে ইসলামিক অভ্যুথ্থানকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছিল সরকার।

ফ্রান্সের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, মালিতে খতম ৫০-র বেশি জঙ্গি
প্রতীকী চিত্র।

Follow Us

TV9 বাংলা ডিজিটাল: মালিতে (Mali) বিমান হামলায় (Airstrike) খতম আল-কায়েদা (Al-Qaeda)-র সঙ্গে জড়িত ৫০ জঙ্গি। সোমবার এই খবর ফ্রান্স সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়।

ফ্রান্সের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লি (Defence Minister Florence Parly) জানান, শুক্রবার বুরকিনা ফাসো (Burkina Faso) ও নাইগার (Niger ) সীমান্ত অঞ্চলে বিমান হামলা চালানো হয়। দীর্ঘদিন ধরেই এই অঞ্চলে ইসলামিক অভ্যুথ্থানকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছিল সরকার।

বারখানে জিহাদ বিরোধী অভিযান সম্পর্কে ফ্লোরেন্স পার্লি বলেন,”৩০ অক্টোবর মালিতে অভিযান চালায় বারখানে বাহিনী। এই অভিযানে ৫০ জনেরও বেশি জঙ্গি নিধন হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর অস্ত্র সামগ্রী।” ড্রোনে একটি বড় মোটরসাইকেল ক্যারাভ্যান ধরা পড়ার পরই অভিযান চালায় ফরাসি সেনা। গাছের আড়ালে লুকিয়ে জঙ্গিরা নজরদারি এড়ানোর চেষ্টা করলে সন্দেহ আরও বাড়ে। এরপর তাদের লক্ষ্য করে মিরাজ জেট ও একটি ড্রোনের (Drone) মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ফ্রান্স সেনা। তার আঘাতেই মৃত্যু হয় জঙ্গিদের।

মিলিটারি মুখপাত্র কর্নেল ফ্রেডরিক বারব্রি বলেন, “৪ সন্ত্রাসবাদীকে আটক করা হয়েছে। প্রচুর বিস্ফোরক ও আত্মঘাতী বোমার জ্যাকেট উদ্ধার হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে। সেনাবাহিনীর উপর আক্রমণ চালানোর প্রস্তুতিই নিচ্ছিল জঙ্গিরা।” তাঁর কথায়, মধ্য মালির পাশাপাশি বৃহত্তর সাহারার ইসলামিক রাজ্যেও ৩ হাজার সৈন্য নিয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। এই অভিযানের ফল কয়েকদিন বাদে জানানো হবে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী পার্লি জানান, এই অভিযানের ফলে বড় ধাক্কা খেল আল কায়েদার সঙ্গে যুক্ত ওই জঙ্গি গোষ্ঠী। আনসাইএম জোটের মাধ্যমে আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক রাখত তারা। জুন মাসে মালিতে ফ্রান্স সেনাবাহিনীর হাতে কমান্ডার আবদেলমালেক ড্রোউকদেলের মৃত্যু হলে সাহেল অঞ্চলে জিহাদিদের নেতা হিসাবে উঠে আসে ঘালি। তার নেতৃত্বেই মালিতে যাবতীয় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত হয়। মালিতে শান্তি বজায় রাখতে আমেরিকার তরফ থেকে ১৩ হাজার সৈন্য পাঠানো হয়েছে। এই মিশনটি ‘মিনুসমা’ (MINUSMA) নামে পরিচিত। অন্যদিকে ফ্রান্সের তরফ থেকেও ৫১০০ সেনা সাহেল অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে।

২০১২ সাল থেকেই জিহাদিদের নিশানায় রয়েছে মালি। সরকারের তরফ থেকে বহু প্রচেষ্টা করা হলেও এই জিহাদি উত্থানকে আটকানো যায়নি। ২০১৩ সালে উগ্র ইসলামপন্থীদের বিতাড়িত করতে মিলিটারি অভিযান চালায় তৎকালীন ফ্রান্স সরকার কিন্তু তা বুমেরাং হয়ে ফিরে আসে এবং মধ্য মালিতে যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মালির পাশেই অবস্থিত বুরকিনা ফাসো ও নাইগার মিলিয়ে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয় এবং লক্ষাধিক মানুষ নিজের আশ্রয় ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন।

Next Article