Pakistan: দেশের ভাঁড়ে মা ভবানী, তুরস্ককে কোটি কোটি ডলার দিলেন পাক নাগরিক

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Feb 13, 2023 | 9:32 PM

Pakistani donated 30 million dolar: অর্থনৈতিক সাঁড়াশি চাপে চরম সংকটে পাকিস্তান। তার মধ্যেই নিজের দেশকে বঞ্চিত করে তুরস্কের পাশে দাঁড়ালেন এক পাক নাগরিক।

Pakistan: দেশের ভাঁড়ে মা ভবানী, তুরস্ককে কোটি কোটি ডলার দিলেন পাক নাগরিক
সগর্ব ঘোষণা করে বিপাকে শাহবাজ

Follow Us

ইসলামাবাদ: প্রতিদিন পড়ছে পাকিস্তানি মুদ্রার দাম। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মূল্যবৃদ্ধি। এই অর্থনৈতিক সাঁড়াশি চাপে চরম সংকটে পাকিস্তান। বিভিন্ন দেশের কাছে হাত পাততে হচ্ছে ইসলামাবাদকে। এই অবস্থায় এক বেনামী পাকিস্তানি নাগরিক নাকি তুরস্ক-সিরিয়ায় জোড়া ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৩ কোটি মার্কিন ডলার দান করেছেন। গত শনিবার এক টুইটে এমনই দাবি করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি জানিয়েছেন, ওই বেনামী পাক নাগরিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত তুরস্কের দূতাবাসে গিয়ে এই সহায়তা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ওই বেনামী পাকিস্তানি তাঁকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। টুইটে গর্বিত শাহবাজ শরিফ লিখেছেন, “এই ধরনের পরোপকারের উদাহরণ আপাতদৃষ্টিতে অদম্য প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে মানবতাকে জিতিয়ে দেয়।”

শরিফের সেই সগর্ব ঘোষণা অবশ্য মোটেই ভালভাবে নেয়নি মূল্যবৃদ্ধির চাপে কোমর ভেঙে যাওয়া সাধারণ পাক নাগরিকরা। তাদের সহজ প্রশ্ন, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। এই অবস্থায় নিজের দেশকে সাহায্য না করে, ওই ব্যক্তি কেন তুরস্ককে অর্থ দান করলেন? পাক সাংবাদিক আয়েশা সিদ্দিকা টুইটে লিখেছেন, “কেন তিনি পাকিস্তানি দূতাবাসে গিয়ে বন্যা ত্রাণের কাজে অর্থ দান করেননি, সেটাই ভাবছি।”

ওই বেনামী ব্যক্তি যে পাকিস্তানি ছিলেন, তা শাহবাজ শরিফ কী করে জানতে পারলেন, সেই প্রশ্নও উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেটিজেনরা বলেছে, ওই পরোপকারী ব্যক্তি তো একজন ভারতীয়ও হতে পারেন। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তাঁর নাম জানাননি কিন্তু তাঁর জাতি পরিচয় দিয়েছেন। এরকমটা কী হতে পারে? ক্ষুব্ধ পাকিস্তানিরা বলেছেন, শাহবাজ শরিফদের মতো ‘দুর্নীতিবাজদের’ কারণেই এরকম পরোপকারী ব্যক্তিরা পাকিস্তানি দূতাবাসে আসেন না। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন যেখানে অর্থের জন্য মরিয়া পাকিস্তান, সেখানে ওই ব্যক্তি পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না কেন? তাদের মতে, আসলে পাক সরকারে একজল ‘চোর’ বলে আছে। তারা সাহায্যের অর্থ নয়ছয় করবে বলেই এই ধরনের ব্যক্তিরা নিজের দেশকে সহায়তা করে না।

পাকিস্তান বর্তমানে এক অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সঙ্কটের সম্মুখীন। সেই দেশের মুদ্রার দাম পড়তে পড়তে ডলার প্রতি ২৭৫ টাকায় পৌঁছেছে। মুল্যবৃদ্ধির হার বেড়ে ২৭ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার ১৯৯৮ সালের পর থেকে বর্তমানে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে ঋণ চাইছে পাকিস্তান। কিন্তু, ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত আরোপ করেছে আইএমএফ। এই শর্ত নিয়ে একমত না হতে পারায়, এখনও পর্যন্ত তাদের থেকে ঋণ পাওয়ার চুক্তি সম্পন্ন করতে পারেনি ইসলামাবাদ।

Next Article