ইসলামাবাদ: চরম আর্থিক সঙ্কটে (Financial Crisis) ডুবেছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান (Pakistan)। গত কয়েকমাস ধরেই সেখানে আটা, চা, চিনি, দুধ সহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের হাহাকারের ছবি ধরা পড়েছে একাধিক সংবাদ মাধ্যমে। ভর্তুকিযুক্ত আটা পাওয়ার জন্য় সেখানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে নাগরিকদের। এরকম বিভিন্ন টুকরো টুকরো ঘটনা ঘটে চলেছে পাকিস্তানের আর্থিক দুর্দশাকে কেন্দ্র করে। সেখানে এখন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর বাজার মূল্য আকাশ ছোঁয়া। এই পরিস্থিতিতে ঋণের জন্য আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের (International Monetary Fund) দিকে তাকিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। তবে সেই আশাও ক্ষীণ। এখন শুধু এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচার রাস্তা খুঁজছে প্রতিবেশী দেশ।
পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম ডনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখন প্রতি লিটার দুধের দাম পাকিস্তানি মুদ্রায় ১৯০ থেকে বেড়ে হয়েছে ২১০। গত দু’দিনে সেখানে ব্রয়লার চিকেনের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা করে। এখন এক কেজি ব্রয়লার চিকেন বিকোচ্ছে ৪৮০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায়। প্রতি কেজি মুরগির মাংস এখন পাকিস্তানি টাকায় ৭০০ থেকে ৭৮০। আগে প্রতি কেজির দাম ছিল ৬২০ পিকেআর থেকে ৬৫০ পিকেআর। এখন বোনলেস মাংসের দাম হয়েছে প্রতি কেজি ১০০০ থেকে ১,১০০ পিকেআর।
শুধু মাংসেরই নয়। দাম বেড়েছে দুধেরও। দুধের দাম নিয়ে করাচি মিল্ক রিটেইলার্স অ্যাসোসিয়েশনের মিডিয়া কোঅর্ডিনেটর ওয়াহিদ গাদ্দি ডনকে বলেছেন, “এক হাজারেরও বেশি দোকানদার অতিরিক্ত দামে দুধ বিক্রি করছেন। এগুলি আসলে পাইকার/ দুগ্ধ চাষিদের দোকান, আমাদের সদস্যদের নয়।” তিনি আরও বলেন, দুগ্ধচাষি ও পাইকারি বিক্রেতাদের ঘোষিত দাম যদি প্রত্যাহার না করা হয়, তাহলে দুধের দাম লিটার প্রতি ২১০ পিকেআরের পরিবর্তে ২২০ পিকেআর হবে। সিন্ধু পোল্ট্রি পাইকারি বিক্রেতা সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল আখতার সিদ্দিকি বলেছেন, পোলট্রি মুরগির পাইকারি দর কেজি প্রতি ৬০০ পিকেআর এবং মাংসের দাম ৬৫০ থেকে ৭০০ পিকেআরের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে।