ইসলামাবাদ: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জেলবন্দি, নির্বাচনে লড়ার অধিকার নেই পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইসলামের অনেক নেতারই। অশান্তির আশঙ্কায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। আর্থিক দুরাবস্থা, চরম ডামাডোলের মাঝেই আজ, ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে লড়তে পারছেন না প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আপাতত প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন নওয়াজ শরিফ। নির্বাচন ঘিরে ব্য়াপক অশান্তির আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
এ দিন সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ, চলবে বিকেল ৫টা অবধি। তবে প্রয়োজন হলে নির্বাচনের সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে। মোট ১২.৮ কোটি নাগরিক ভোট দেবেন নির্বাচনে। হিংসা, অশান্তি, প্রতিকূল পরিস্থিতি এড়াতেই সকাল থেকে পাকিস্তানে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন পাকিস্তানের সেনা প্রধান আসিম মুনীর, নওয়াজ শরিফ ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। গত ২০১৮ সালের নির্বাচনে সবথেকে বেশি সংখ্যক ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিল ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। তবে এবারের নির্বাচনে পিটিআই-র স্বীকৃতিও বাতিল করে দিয়েছে কমিশন।
দুর্নীতি থেকে শুরু করে নিয়ম বিরুদ্ধ বিয়ে-একাধিক মামলায় হাজতবাস করছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। জল্পনা ছিল, এবার হয়তো জেল থেকেই নির্বাচনে লড়বেন তিনি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় ভোটে লড়তে পারবেন না ইমরান। তাঁর দলের একাধিক নেতাকেও অনুমতি দেওয়া হয়নি। পিটিআই-র কর্মীরা যে কয়েকজন অনুমতি পেয়েছেন, তারা বেগুন প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। জেলবন্দি নেতা ইমরান খান দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের অনুরোধ করেছেন, তারা যেন ভোট দিয়েই চলে না আসেন, নির্বাচনের ফল ঘোষণা না হওয়া অবধি বুথের বাইরেই অপেক্ষা করেন।