করাচি: দেশের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করতে চলেছে পাকিস্তান। এই বিষয়েই অনুমতি পেয়ে গিয়েছে সেদেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। শীঘ্রই দেশের অন্দরে চিনা প্রযুক্তির আদলে তৈরি হতে চলেছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। জানা গিয়েছে, মোট ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি করতে সক্ষম এই কেন্দ্রটি। যা তৈরি করতে মোট খরচ হবে ৩.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য অনুমতিপত্রের আর্জি জানায় পাকিস্তানের পারমাণবিক বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। যা অবশেষে মিলল বছর শেষের একদিন আগে। শুধুই অনুমতিপত্র নয়, সরকারের কাছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংক্রান্ত একাধিক রিপোর্ট দাখিল করেছিল এই সংস্থা। কীভাবে কাজ করবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি, সুরক্ষা কতটা থাকবে, কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কি না, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কীভাবে হবে, সব বিষয়েই পর্যবেক্ষণ করে সরকারের কাছে রিপোর্ট দাখিল করে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। যার ভিত্তিতে চলতি মাসে অবশেষে মেলে অনুমতি পত্র।
চিনেই ভরসা পাকিস্তানের
এই উন্নতমানে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সেই চিনেই ভরসা পাকিস্তানের। চিনা C-5 ওয়াটার রিয়াক্টর প্রযুক্তির দ্বারাই চালিত হবে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। যা আগামী ৬০ বছর পর্যন্ত নির্দ্বিধায় গোটা দেশকে আলো জোগাবে। এর আগেও আরও দু’টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে চিনের প্রযুক্তির উপরেই নির্ভরশীল হতে হয়েছিল পাকিস্তানকে।
উল্লেখ্য, করাচি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট ২ এবং ইউনিট ৩, উভয়ই চিনা প্রযুক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এবং বছর বছর ধরে গোটা দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মিটিয়ে চলেছে।
গত বছর থেকেই বিদ্যুৎ সংকটে পড়েছে পাকিস্তানের। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার জেরে এক সঙ্গে অন্ধকারে ডুবে দেশের বেশ কয়েকটি বড় বড় শহর। বিদ্যুৎ ছাড়াই কার্যত অচল হয়ে পড়ে গোটা দেশ। এবার সেই ঘাটতি মেটাতেই কোটি কোটি টাকা খরচ করে নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করছে পড়শি দেশ।