ইসলামাবাদ: অনাস্থা প্রস্তাব আনার পর থেকেই দাবি করেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। সরকারকে গদিচ্যুত করতে ‘বিদেশি শক্তি’র হাতও রয়েছে। রবিবার পাক সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল ও সংসদ ভেঙে দেওয়ার পরই মুখ খুললেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। রবিবারই তিনি দাবি করেন, মার্কিন কূটনীতিবিদ ডোনাল্ড লু(Donald Lu)-ই তাঁর ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (Pakistan Tehrik-e-Insaf) সরকার পতনের পরিকল্পনা করেছিলেন। অনাস্থা প্রস্তাব আনাও তাঁরই পরিকল্পনা।
জানা গিয়েছে, গতকাল পাক সংসদের ‘নাটক’ চলার পরই বিকেলে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের বৈঠক ডাকেন ইমরান খান। সেখানেই তিনি ডোনাল্ড লু-র নাম নেন। ইমরানের দাবি, মার্কিন স্টেট ডিপার্মেন্টের দক্ষিণ এশিয়া শাখার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক তাঁর সরকারকে গদিচ্যুত করার পরিকল্পনা করেছিলেন।
আমেরিকায় পাকিস্তানি দূত আসাদ মাজিদকে সতর্ক করেছিলেন লু, তিনি বলেছিলেন যে, ইমরান যদি অনাস্থা ভোটেও যদি ইমরান টিকে যায়, তবে তার জন্য বড় ‘মূল্য’ চোকাতে হবে। এনএসসির বৈঠকে মার্কিন ও পাকিস্তানি দূতের মধ্যে বার্তালাপের একটি অংশও শোনানো হয়েছে।
বৈঠকে ইমরান আরও জানান যে, পাকিস্তানের বাইরে থেকেই দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার তরফেও এই দাবিকেই মান্যতা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। পিটিআইয়ের সদস্য, যারা ইমরানের বিরুদ্ধেই সুর চড়িয়েছেন, তাদের সঙ্গেও দূতাবাসের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল বলে দাবি করেন ইমরান।
গতকালই পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি, ইমরান খানের দাবি মেনে পাক জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন। সরকার জানায়, আগামী তিন মাসের মধ্যেই নির্বাচন হতে চলেছে। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ইমরান খান বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব বিদেশি চক্রান্তই ছিল। আল্লাহকে ধন্যবাদ এই চক্রান্ত ব্যর্থ হয়ে গিয়েছে।”
সংসদ ভেঙে দেওয়া ও নির্বাচনে দাবি প্রসঙ্গেও বিকেলের বৈঠকে প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেন যে, এই ঘোষণার পরই বিরোধীরা চকিত হয়ে গিয়েছিল। তারা বুঝতেই পারছিলেন না যে তাদের সঙ্গে কী হতে চলেছে।