TV9 বাংলা ডিজিটাল: ধর্ষণের মামলায় কঠোর আইন আনতে চলেছে পাকিস্তান (Pakistan)। এবার থেকে পাকিস্তানে ধর্ষকের সাজা হতে চলেছে রাসায়নিক পদ্ধতিতে লিঙ্গচ্ছেদ। বিশেষ রাসায়নিক পদ্ধতিতে ধর্ষকের যৌন ক্ষমতা বিলুপ্ত করে দেবে পাক প্রশাসন। মঙ্গলবার এমনই খবর প্রকাশিত হয়েছে সে দেশের সংবাদ মাধ্যমে।
ইমরান খানের ক্যাবিনেট বৈঠকে এই বিষয়ে খসড়াও নাকি তৈরি হয়ে গিয়েছে। এবার সংসদে পাস হলেও সিলমোহর পড়ে যাবে এই নয়া আইনে। যদিও এখনও সরকারি ভাবে এ বিষয়ে কিছু জানায়নি পাক (Pakistan) প্রশাসন। এছাড়াও পাক সংবাদ মাধ্যমের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ধর্ষণ রুখতে মহিলাদের অধিক ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে এই নয়া আইনে। তা ছাড়া কোনও ভয় ছাড়াই ধর্ষিতা মামলা দায়ের করে আইনি সুবিধা পেতে পারেন, সে বিষয়েও জোর দেওয়া হচ্ছে।
ইমরান খান ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন এই বিষয়ে বিন্দুমাত্র দেরি তিনি চান না। তিনি বলেছেন, “পাক নাগরিকদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে আমরা বদ্ধ পরিকর।” সংবাদ মাধ্যম অনুযায়ী নয়া আইনে ধর্ষিতার পরিচয় গোপন রেখেই দ্রুত মামলার নিস্পত্তি করবে প্রশাসন। সূত্রের খবর,ক্যাবিনেট বৈঠকে ইমরান খানের অনেক মন্ত্রীই নাকি ধর্ষণের সাজা হিসাবে মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে ছিলেন। যদিও আপাতত রাসায়নিক ভাবে লিঙ্গচ্ছেদই ধর্ষণের সাজা হিসাবে বলবৎ করতে চলেছে পাক প্রশাসন। পাকিস্তানের সাংসদ ফয়সল জাভেদ খান ইতিমধ্যেই টুইট করে জানিয়েছেন দ্রুত এই আইনের প্রস্তাব সংসদে পেশ করা হবে।
আরও পড়ুন: ফের ৪৩ টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে হুঁশিয়ারি দিল ভারত! জাতীয় সুরক্ষা স্রেফ ‘অজুহাত’, খোঁচা বেজিংয়ের
বর্তমানে পাকিস্তানে ধর্ষণের সাজা নিয়ে একাধিক বিতর্ক রয়েছে। সম্প্রতি লাহোরে এক ৭ বছরের নাবালিকার ধর্ষণ হয়। তারপরেই নড়চড়ে বসেছে পাক মন্ত্রিসভা। সেখান থেকেই এই সিদ্ধান্তে আসছে ইমরান প্রশাসন। ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা হিসাবে মৃত্যুদণ্ড করতে অধ্য়াদেশ এনেছে বাংলাদেশ সরকারও। ভারতেও বিগত দিনে ধর্ষণের সাজা মৃত্যুদণ্ড করার পক্ষে সওয়াল করেছে একাধিক অলাভজনক সংস্থা।