Ameer Balaj Tipu: বিয়েবাড়িতে চলল গুলি, খুন ভয়ঙ্কর পাক গ্যাংস্টার! কে এই আমির বালাজ টিপু?
Ameer Balaj Tipu: রবিরার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এই ঘটনা ঘটে। পাক সংবাদমাধ্যমগুলির প্রকতিবেদন অনুযায়ী, ওই আততায়ী বালাজ এবং আরও দুই অতিথিকে নিশানা করে গুলি চালিয়েছিল। বাকি দুই জনও গুরুতর আহত হয়েছেন। টিপুর দিকে গুলি চলতেই, তার সশস্ত্র সহযোগীরা পাল্টা জবাব দেয়। তাদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হামলাকারীরও।

লাহোর: পাকিস্তানের লাহোরের চুং এলাকায় এক বিয়েবাড়িতে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হল পাক অন্ধকার জগতের অন্যতম বড় নাম, আমির বালাজ টিপুর। রবিরার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এই ঘটনা ঘটে। পাক সংবাদমাধ্যমগুলির প্রকতিবেদন অনুযায়ী, ওই আততায়ী বালাজ এবং আরও দুই অতিথিকে নিশানা করে গুলি চালিয়েছিল। বাকি দুই জনও গুরুতর আহত হয়েছেন। টিপুর দিকে গুলি চলতেই, তার সশস্ত্র সহযোগীরা পাল্টা জবাব দেয়। তাদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হামলাকারীরও। আন্ডারওয়ার্ল্ড গ্যাং চালানোর পাশাপাশি, টিপু পণ্য পরিবহন ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত ছিল। লাহোরের অন্ধকার জগতের সবথেকে প্রভাবশালী এবং ভয়ঙ্কর ব্যক্তিত্ব ছিল টিপু। তার অকাল মৃত্যুতে অপরাধ জগতে এক বড় শূন্যতা তৈরি করেছে। তার জায়গা কে নেবে, তা নিয়ে গ্যাঙের বিভিন্ন নেতাদের মধ্যে সংঘর্ষ দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পাক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে লাহোরের উপকণ্ঠে চুং এলাকায়। পুলিশ ঘটনাস্থলটি সিল করে দিয়েছে। এই ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পাক পুলিশ। তবে, হামলাকারীর উদ্দেশ্য বা পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি। গুলি লাগার পর, প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই টিপুকে নিকটবর্তী জিন্না হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় তার অনুগামীদের মধ্যে শোক ও ক্ষোভের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। গ্যাংস্টার হলেও, বেশ কিছু মহিলাকে তার জন্য বুক চাপড়ে কাঁদতে দেখা গিয়েছে।
টিপুর হত্যার পিছনে রাজনৈতিক কারণ থাকতে পারে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে। পাক সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি সে ইমরান খানের পিটিআই দল ছেড়ে নওয়াজ শরিফের পিএমএল(এন) দলে যোগ দিয়েছিলেন। তার উপর হামলা হওয়ার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন পিএমএল(এন)-এর নির্বাচিত সাংসদ, আতাউল্লাহ তারার। তবে, টিপুর পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ হল হিংসা। তাকে নিয়ে তার পরিবারের তিন প্রজন্মের মৃত্যু হয়েছে হিংসার কারণেই। তার ঠাকুর্দা ছিলেন বিল্লা ট্রাককানওয়ালা। এক পুরানো দ্বন্দ্বের জেরে তাঁকে খুন হতে হয়েছিল। ২০১০ সালে, তার বাবা, আরিফ আমির, ওরফে টিপু ট্রাককানওয়ালাও খুন হন। আল্লামা ইকবাল বিমানবন্দরে তার উপর মারাত্মক হামলা হয়েছিল। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে সেখানেই তিনি মারা যান। এবার, আমির বালাজ টিপুরও একই পরিণতি হল।
