টাকা দিলেও ঘুষ নিচ্ছে না পাকিস্তানি পুলিশ! তবে গরু-ছাগল দেখলে…

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Jul 06, 2022 | 7:21 PM

Pakistani rupee: পাকিস্তানের পুলিশকে টাকা হাতে গুঁজে দিলেও, তারা নিচ্ছে না। হল টা কী? পাকিস্তানি পুলিশ কি তবে সততার প্রতীক হয়ে উঠল? না এর পিছনে আছে অন্য কাহিনি।

টাকা দিলেও ঘুষ নিচ্ছে না পাকিস্তানি পুলিশ! তবে গরু-ছাগল দেখলে…
প্রতীকী ছবি

Follow Us

করাচি: পাকিস্তানের পুলিশকে টাকা ঘুষ দিতে চাইলেও তারা নিচ্ছে না। না, হঠাৎ করেই পাক পুলিশ দারুণ সত হয়ে যায়নি। কিন্তু, পাকিস্তানি টাকার মূল্য এখন এতটাই কম, যে পুলিশ আর ঘুষ হিসাবে টাকা নিতে চাইছেন না। বরং, তার বদলে গরু, ছাগল, মোষের মতো গবাদী পশু ঘুষ হিসাবে নিয়ে যাচ্ছে তারা। এমনটাই জানাচ্ছে সেই দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। করাচিতে, সম্প্রতি এরকমই এক ঘটনার কথা রিপোর্ট করেছেন সেখানকার এক বাসিন্দা।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলি প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৩ জুন করাচির ফিরোজাবাদ থানায় এক অপরাধের ঘটনার রিপোর্ট করতে এসেছিলেন ওই পাক নাগরিক। অভিযোগ, ফিরোজাবাদ থানায় কর্মরত এক পুলিশ অফিসার তাঁর বিষয় দেখার জন্য ঘুষ চেয়েছিলেন। ওই ব্যক্তি গরু-ছাগল পালন করেই সংসার চালান। সামান্য কিছু অর্থ তিনি ওই পুলিশ কর্তাকে দিতে চেয়েছিলেন। তাতে মন ভরেনি দুর্নীতিগ্রস্ত ওই অফিসারের। বদলে, দুটি ছাগল ও একটি গরু ঘুষ হিসেবে দাবি করেন তিনি।

প্রতীকী ছবি

স্থানীয় প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সম্প্রতি কয়েকজন অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী, ওই পাক নাগরিকের বাড়ি লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়েছিল। তাতেই, পুলিশি নিরাপত্তা এবং ঘটনার তদন্ত চেয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন তিনি। পুলিশে পক্ষ থেকে তাঁর অভিযোগটি গ্রহণ করা হয়। এক পুলিশ কর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তদন্তের স্বার্থে ওই ব্যক্তির বাড়িতে এসেছিলেন ওই তদন্তকারী অফিসার। হঠাৎ তাঁর চোখ যায়, ওই ব্যক্তির গোয়ালে থাকা ছাগল এবং গরুর দিকে। এরপরই, ওই ব্যক্তির কাছে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারটি দুটি ছাগল এবং একটি গরু দাবি করেন বলে অভিযোগ। জানিয়ে দেন, গরু-ছাগলের ঘুষ পেলে তবেই তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করবেন। ওই সম্বলটুকু হাতছাড়া করতে পারেননি করাচির ওই বাসিন্দা। বদলে, ওই পুলিশ কর্তার নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ফলে, এই নক্কারজনক ঘটনা জানাজানি হয়ে গিয়েছে।

সম্প্রতি মার্কিন ডলারের তুলনায় প্রায় ১৬.৫ শতাংশ মূল্য কমেছে পাকিস্তানি টাকার। শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ভেঙে পড়া সত্ত্বেও অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের হিসেব অনুযায়ী, ২০২২ সালে এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পাকিস্তানি টাকার। পাকিস্তান বর্তমানে চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ব্যাপক ঋণের চাপে পাকিস্তানের চলতি কারেন্ট অ্যাকাউন্ট এবং ট্রেড বেফিসিট দুইই নেতিবাচক স্তরে আছে। পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডারও প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। ফলে খাদ্য ও জ্বালানির আমদানী কমছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দাম। অনেকে আশঙ্কা করছেন, পাকিস্তানও শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে।

Next Article