সিন্ধ প্রদেশ: পাকিস্তানে ঘটল এক লজ্জাজনক ঘটনা। এক গর্ভবতী মহিলাকে থাপ্পড় মেরে বিপাকে পড়েছেন এক পুলিশকর্মী। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর ওই পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গুলিস্তান-ই-জহর এলাকায় এক বহুতলের বাইরে গর্ভবতী মহিলাকে চড় মারার মারার অভিযোগ ওঠে ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে, পাক সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এমনটাই জানিয়েছে। গোটা ঘটনার দৃশ্য সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে। চড় খেয়ে মাটিতে পড়ে যেতেই, পুলিশকর্মী তাঁর মুখে লাথি মারে।
کراچی گلستان جوہر بلاک 17 میں اپارٹمنٹ کے سیکیورٹی گارڈ نے پہلے خاتون کی تذلیل کی پھر تھپڑ اور لات مار کر بے ہوش کردیا، بے غیرتی کی انتہا کہ پاس بیٹھے لوگ بجائے بیچ بچاو کروانے کے معاملہ دیکھ کر کھسکنے لگے، کہاں ہیں انسانی حقوق والے؟ @SyedaShehlaRaza@PoliceMediaCell pic.twitter.com/WVOIG0TeYr
— Nazir Shah (@SsyedHhussain) August 8, 2022
সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, ওই মহিলা নরম্যান গ্র্যান্ড সিটির একটি বাড়িতে পরিচারিকার পরিচারিকার কাজ করেন। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন ৫ অগাস্ট তিনি তাঁর ছেলেকে খাবার দিয়ে যেতে বলেছিলেন। ছেলে খাবর দিতে এসেছিল। কিন্তু ওই বাড়িতে ঢোকার সময় মহিলার ছেলেকে বাধা দেয় কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। চেঁচামেচির আওয়াজ পেয়ে নিচে নেমে আসেন গর্ভবতী মহিলা। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “নিচে নেমে আসতে আদিল নামে পুলিশকর্মী আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। অপর পুলিশকর্মীকে আমাকে মারার জন্য বলা হয়। আমি পাঁচ মাসের গর্ভবতী। তাঁর হাতে মার খেয়ে আমি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম।”
ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিমিষে ভাইরাল হয়ে যায়। নেটিজেনরা পুলিশ কর্মীর ওপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সামাজিক মাধ্যম জুড়ে সমালোচনা শুরু হতেই পুলিশের পক্ষ থেকে নিগৃহীতা মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে ওই পুলিশকর্মীকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর প্রশ্ন, “কীভাবে ওই নিরাপত্তারক্ষীর এত ঔদ্ধত্য যে সে মহিলার গায়ে হাত তুলল?”