গাজা: ‘রাজায়-রাজায় যুদ্ধ হয়, আর উলুখাগড়ার প্রাণ যায়’। বাংলা এই প্রবাদটি একেবারেই অমূলক নয়। বর্তমানে ইজরায়েল ও হামাস বাহিনীর যুদ্ধে ‘উলুখাগড়া’র মতোই অবস্থা ইজরায়েল (Israel) ও প্যালেস্তাইনের (Palestine) নাগরিকদের। প্রাণ বাঁচাতে এখন দেশ ছেড়ে পড়শি দেশে আশ্রয় নিতে ছুটছে তারা। যদি কোথাও একটু নিরাপদ আশ্রয় মেলে। ইজরায়েলের হামলার জেরে দেশ ছেড়ে মিশরের দিকে ছুটছে প্যালেস্তাইনের নাগরিকরা।
গত কয়েকদিন ধরেই গাজায় বসবাসকারী প্যালেস্তাইনের নাগরিকরা প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন। অধিকাংশই প্রতিবেশী দেশ মিশরে ঢোকার চেষ্টা করছে। যদিও মিশর সীমান্ত বন্ধ। প্যালেস্তাইনের কোনও শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া হবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল-ফতেহ-আল সিসি। তবু মিশর সীমান্তের বাইরে শয়ে-শয়ে মানুষ দাঁড়িয়ে। কিছুক্ষণের জন্যও যদি সীমান্ত খোলে মিশর সরকার, সেই আশায় প্যালেস্তাইনের নিরীহ নাগরিকেরা। কিন্তু, প্যালেস্তাইনের নাগরিকদের নিজেদের জমি ছেড়ে না এসে, গাজাতেই থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট।
এদিকে, হামাস বাহিনীকে নির্মূল করতে সবদিক থেকে গাজায় হামলা চালানোর তৎপরতা শুরু করেছে ইজরায়েল সরকার। যদিও ইজরায়েলকে পাল্টা আক্রমণ চালাতে শুরু করেছে হিজবুল্লা গোষ্ঠী। আবার ইরান সরকারও ইজরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। যদিও ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পাল্টা হুঁশিয়ারি, ধৈর্য্যের পরীক্ষা নেবেন না। ইজরায়েল-হামাস বাহিনীর যুদ্ধে ইতিমধ্যে মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়েছে। যার মধ্যে প্যালেস্তাইনের নাগরিকের সংখ্যা ২৬০০ এবং ইজরায়েলের নাগরিকের সংখ্যা ১৪০০। যুদ্ধ না থামলে এই সংখ্যা যে আরও বাড়বে, সে বিষয়ে সংশয় নেই। এই পরিস্থিতিতে এবার ইজরায়েল ও জর্ডন সফরে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মিশরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি। এবার বাইডেনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা ঠান্ডা হয় কিনা সেদিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।