নিউ ইয়র্ক : টুইটারে মালিকানা ইলন মাস্কের হাতে আসতে চলেছে। ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা দিয়ে মাইক্রোব্লগিং সংস্থা টুইটার কেনার চুক্তিতে সই করেছেন তিনি। তবে এবার প্রশ্ন উঠেছে সিইও পরাগ আগরওয়ালের চাকরি নিয়ে। সিইও হিসেবে তিনিই দায়িত্বে থাকবেন কি না, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। সংস্থার সব কর্মীরাই যখন চাকরি হারানোর আশঙ্কায় ভুগছেন, তখন শোনা যাচ্ছে, নতুন সিইও ঠিক করে ফেলেছেন মাস্ক। সংবাদসংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরের শেষেই দায়িত্ব পেতে পারেন সেই নতুন সিইও।
আপাতত চলছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া। চলতি বছরের শেষের দিকে সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে বলে জানা গিয়েছে। আর তারপরই যেতে পারে পরাগ আগরওয়ালের চাকরি। সূত্রের খবর, গত মাসেই ইলন মাস্ক সংস্থার চেয়ারম্যানকে বলেছেন, সংস্থার শীর্ষকর্তাদের ওপর তাঁর ভরসা নেই। তিনি যে নতুন করে টিম সাজাতে চলেছেন, তেমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন মাস্ক। গত বছরের নভেম্বর মাসেই জ্যাক ডরসের হাত থেকে সিইও-র দায়িত্ব আসে পরাগ আগরওয়ালের হাতে। মনে করা হচ্ছে, হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত তিনিই দায়িত্ব সামলাবেন।
একটি রিপোর্টে বলা হচ্ছে, টুইটার হস্তান্তর হওয়ার ১২ মাসের মধ্যে যদি পরাগ আগরওয়ালকে সিইও র ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে তাঁকে এককালীন ৪ কোটি ২০ লক্ষ ডলার দিতে হবে। অর্থাৎ ১২ মাসের বেতনের বেসিক ও সঙ্গে টুইটারে তাঁর শেয়ারের মূল্য যোগ করে যা হয়, সেটাই দেওয়া হতে পারে পরাগ আগরওয়ালকে। বাক স্বাধীনতা-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আপত্তি রয়েছে ইলন মাস্কের।
শুধু পরাগ আগরওয়াল নয়, নিউ ইয়র্ক পোস্টে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, টুইটারের লিগাল হেড বিজয়া গেড্ডের চাকরিও যেতে পারে। তাঁর চাকরি চলে গেলে তাঁকে দিতে হবে ১ কোটি ২০ লক্ষ ডলার। সঙ্গে থাকে সংস্থার শেয়ারও। সংস্থার সর্বোচ্চ বেতন প্রাপ্ত কর্মীদের মধ্যে অন্যতম বিজয়া। তবে নতুন কোন সিইও-কে নিয়োগ করা হবে, সেই নাম অবশ্য এখনও প্রকাশ্য়ে আনেননি ইলন মাস্ক। এ দিকে, সংস্থার কর্মীরাও চাকরি নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন। তাঁরা বারবার পরাগ আগরওয়ালের কাছে প্রশ্ন করছেন, চাকরি থাকবে কি না। আপাতত সদুত্তর নেই কারও কাছেই।