সুখবর দিল ফাইজ়ার, বছর শেষের আগেই আসছে ৫ কোটি ভ্যাকসিন

সুমন মহাপাত্র |

Dec 02, 2020 | 3:16 PM

ফাইজ়ার ছাড়াও ভ্যাকসিনের দৌড়ে আছে মোডের্না। তারাও ৯৫ শতাংশ কার্যকরিতার দাবি করেছে।

সুখবর দিল ফাইজ়ার, বছর শেষের আগেই আসছে ৫ কোটি ভ্যাকসিন

Follow Us

TV9 বাংলা ডিজিটাল: দীর্ঘ ৮ মাস প্রতীক্ষার পর সুখবর দিল ফাইজ়ার (Pfizer)। জার্মান সংস্থা বায়োনটেকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ৯৫ শতাংশ কার্যকরী করোনা ভ্যাকসিন বানিয়ে ফেলেছে মার্কিন এই সংস্থা। এমনটাই দাবি তাদের। সংস্থা জানিয়েছে বছর শেষের আগেই তারা বিশ্বকে ৫ কোটি করোনা প্রতিষেধক উপহার দেবে। আর ২০২১ সালের মধ্যে ১৩০০ কোটি ভ্যাকসিন বানিয়ে ফেলবে ফাইজ়ার।

মোট ৪৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর ট্রায়াল চালিয়েছিল ফাইজ়ার। যেখানে কোনও স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে তীব্র কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। শুধু তাই নয় বয়স্কদের ক্ষেত্রে ৯৪ শতাংশ সফল এই ভ্যাকসিন। ফাইজ়ারের অন্য়তম প্রধান ডঃ অ্যালবার্ট বোর্লা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ভ্যাকসিনের ফলাফলে ৮ মাসের ঐতিহাসিক যাত্রা সফল হয়েছে। মহামারী শেষ করতে সাহায্য করবে এই ভ্যাকসিন।

ফাইজ়ার জানিয়েছে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই তারা মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছে অনুমোদনের আবেদন করবে। ফাইজ়ার ও বায়োনটেক গত সপ্তাহে জানিয়ে ছিল যে তাদের ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশ কার্যকরী। কিন্তু সম্পূর্ণ তথ্য় হাতে আসার পর তারা দাবি করেছে প্রতিষেধক প্রায় ৯৫ শতাংশ কার্যকরী। তবে সব থেকে খুশির খবর হল প্রতিষেধকের তীব্র কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। সংস্থা জানিয়েছে মাত্র ৩.৭ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবক দ্বিতীয় ডোজ়ের পর ক্লান্তি অনুভব করেছেন। মাত্র ২ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবকের মাথা যন্ত্রণা হয়েছে।

ইয়েল ইউনিভর্সিটির গবেষক আকিকো ইয়াসাকির মতে ভ্যাকসিনের ফল অসাধারণ। তিনি জানন, ৬৫ বছর বয়সীদের উপর দারুণ কাজ করছে এই ভ্যাকসিন। আর ৯৪ শতাংশ কার্যকরিতা সত্যিই অভূতপূর্ব। ফাইজ়ার জানিয়েছে তারা তাদের গবেষণা এফডিএতে জমা করতে প্রস্তুত। এরপর এফডিএ অনুমোদন করলেই হাতে চলে আসবে করোনা প্রতিষেধক। তবে ইয়েল ইউনিভার্সিটির ডিরেক্টর সাদ বি ওমার জানিয়েছেন, প্রতিষেধকের খবর অত্যন্ত ভাল। তবে প্রথম লক্ষ্য হবে সংক্রমণ রোখার চেষ্টা করা। তিনি সংস্থাকে আরও তথ্য প্রকাশের জন্য অনুরোধ করেছেন।

আরও পড়ুন: আমেরিকায় ‘অরুনোদয়’! বাইডেনের ক্যাবিনেটে কি বঙ্গসন্তান?

ফাইজ়ার ছাড়াও ভ্যাকসিনের দৌড়ে আছে মডার্না। তারাও ৯৫ শতাংশ কার্যকরিতার দাবি করেছে। দুই সংস্থাই এম-আরএনএ ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। একবার অনুমোদন পেলে প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মী ও তারপর বয়স্কদের দেওয়া হবে এই ভ্যাকসিন। প্রতিষেধকের বিতরণেও অভিনব পদ্ধতি ভেবে নিয়েছে মার্কিন এফডিএ। ৯৪ ডিগ্রি ঋণাত্বক সেন্টিগ্রেড উষ্ণতায় বিভিন্ন বাক্সে সংরক্ষিত হবে ফাইজ়ারের প্রতিষেধক। তারপর পৌঁছে যাবে সকলের কাছে। যদিও মোডের্না ৪ ডিগ্রি ঋণাত্বকেও কার্যকরী।

Next Article