ম্য়ানিলা: সারা বিশ্বেই দেখা যাচ্ছে নতুন প্রবণতা, বন্দুকবাজের হামলা। গত কয়েক বছরে এই ঘটনা শুধুমাত্র আমেরিকার মধ্য়ে সীমাবদ্ধ ছিল। বর্তমানে তা ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, এমনকি, দক্ষিণ আফ্রিকাতেও দেখা গিয়েছে। রবিবার ফের একই ধরণের হামলা হল বিশ্বের আরেক প্রান্তে। এবার ঘটনাস্থল এশিয় দেশ ফিলিপাইন্স। সংবাদ সংস্থা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার (২৪ জুলাই) সেই দেশের রাজধানী ম্যানিলার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বন্দুকবাজের গুলিতে দুই ব্যক্তি নিহত এবং কমপক্ষে দুইজন আহত হয়েছেন।
ফিলিপাইনের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে ‘অ্যাতেনিও ডি ম্যানিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে’, স্থানীয় সময় রবিবার দুপুর ২টো বেজে ৫৫ মিনিট নাগাদ। এদিন ‘অ্যাতেনিও ল স্কুলের’ স্নাতক ডিগ্রি লাভের অনুষ্ঠান চলছিল। তার মধ্য়েই আচমকা ওই হামলা চালানো হয়। তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ নম্বর গেটের কাছে এই ঘটনা ঘটে। কুইজন সিটির পুলিশ প্রধান রেমাস মেডিনা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন বন্দুকবাজকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ প্রধান বলেছেন, ‘এখনও পর্যন্ত দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। সেখানে আরও দুজন আহত হয়েছেন। আমরা এখনও তাদের পরিচয় জানতে পারিনি। একজনকে অতি দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার কী অবস্থা তাও আমরা এখনও জানি না।’ ফিলিপাইন ন্যাশনাল পুলিশ বা পিএনপির পাবলিক ইনফরমেশন অফিসের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রডরিক অগাস্টাস আলবা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজনকে ইতিমধ্যেই হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের এখনও অনেক তথ্য পাওয়া বাকি। তদন্ত এখনও চলছে।’
এদিনের অনুষ্ঠানে আবার যোগ দেওয়ার কথা ছিল ফিলিপাইন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আলেকজান্ডার গেসমুন্ডোর। ‘অ্যাতেনিও ল স্কুলের’ স্নাতক ডিগ্রি লাভের অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল। সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র জানিয়েছেন, অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। গুলিচালনার ঘটনার সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ছিলেন। গুলি চলার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে জানানো হয় এবং তাঁকে মাঝরাস্তা থেকেই ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তিনি নিরাপদেই আছেন বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র।
এদিকে, অ্যাতেনিও ডি ম্যানিলা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে জানিয়েছে, গুলিচালনার ঘটনার পর, ‘অ্যাতেনিও ল স্কুল’-এর স্নাতক ডিগ্রি লাভের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। আর কোনও শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আসার বিষয়ে নিষেধ করা হয়েছে।