ভিডিয়ো: ‘আমায় মেরে ফেলুন, কিন্তু সন্তানদের বাঁচতে দিন’, পুলিশের কাছে নতজানু হয়ে কাতর আর্তি সন্ন্যাসিনীর

পরনে সাদা পোশাক, উল্টো দিকে কালো পোশাকে বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে জান্তার পুলিশ।

ভিডিয়ো: 'আমায় মেরে ফেলুন, কিন্তু সন্তানদের বাঁচতে দিন', পুলিশের কাছে নতজানু হয়ে কাতর আর্তি সন্ন্যাসিনীর
ছবি- টুইটার
Follow Us:
| Updated on: Mar 09, 2021 | 7:18 PM

ইয়াঙ্গন: বয়স ৪৫, নতজানু হয়ে বসে পড়লেন এক সন্ন্যাসিনী। উল্টো দিকে বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকজন উর্দিধারী। বন্দুকের সামনে সন্ন্যাসিনীর কাতর আর্তি, “আমায় মারুন কিন্তু আমার সন্তানদের ছেড়ে দিন।” সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেখে মায়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি আন্দাজ করতে পারছেন কেউ কেউ। আর সেই ছবি বুঝিয়ে দিচ্ছে কীভাবে মায়ানমারে আন্দোলনের কোমর ভেঙে দিচ্ছে জান্তা প্রশাসন।

৪৫ বছর বয়সী সন্ন্যাসিনীর নাম আন রোজ নু তং। পরনে সাদা পোশাক, উল্টো দিকে কালো পোশাকে বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে জান্তার পুলিশ। এই দৃশ্য দেখে সন্ন্যাসিনীর সাহসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অধিক বুদ্ধ ধর্মালম্বীদের গোটা দেশও। ১ ফেব্রুয়ারি নোবেলজয়ী নেত্রী সু কি-কে আটক করেছিল মায়ানমারের সেনা। তারপর গোটা দেশের দায়িত্ব তুলে নিয়েছে সামরিক বাহিনী। পাল্টা সু কি-র মুক্তির দাবিতে লাগাতার পথে নামছে সে দেশের জনতা। আন্দোলন ভাঙতে কাঁদানে গ্যাস, জলকামান, গুলি কোনও কিছুই বাদ রাখেনি সেনা পুলিশ। তবু আন্দোলন দমেনি। এমনই অবস্থায় মূহুর্তে উঠে এসেছে সন্ন্যাসিনীর প্রতিরোধ গড়ে তোলার এই ফ্রেম।

সোমবারও মায়ানমারের বিভিন্ন শহরে গণতন্ত্রপন্থীরা আন্দোলন বের করেছিলেন। সেই আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। তখন আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশের কড়া পদক্ষেপ রুখতে সংঘর্ষের ময়দানে নেমে আসেন আন রোজ নু তংয়ের মতো অনেক সন্ন্যাসিনী। নু তং বলেন, “আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ ছুটছিল, আমার সন্তানদের জন্য চিন্তিত।” তিনি জানান, আন্দোলনকারীরা ছুটে পালিয়ে যাচ্ছিল, তাঁদের অবস্থা দেখে তাঁর চিন্তা হচ্ছিল। ‘যেন পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল’, পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে এমন কথা বলেন তিনি। ভাইরাল সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, নতজানু অবস্থায় সন্ন্যাসিনীকে দেখে হাতজোড় করেছেন সেনা পুলিশ আধিকারিকরাও।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের সব থেকে কাছে এ বার ত্রিপুরা, ‘মৈত্রী সেতু’ উদ্বোধন করলেন মোদী-হাসিনা