PM Modi Launches Trilateral ACITI: আফ্রিকার মাটি থেকে সম্পর্কের উত্থান! জি-২০ সম্মেলনে গিয়ে ‘ত্রিশক্তি’ গড়লেন মোদী
PM Modi G-20 Summit: শনিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, 'জোহানেসবার্গে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে দেখা করে খুব ভাল লাগল। এই বছর ভারত-ব্রিটেনের সম্পর্ক একটা নতুন মাত্রা পেয়েছে। আমরা আশাবাদী সেই সম্পর্ক আগামী দিনেও আরও এগিয়ে যাবে।'

নয়াদিল্লি: ‘ত্রিশক্তি’ গড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হাত মেলালেন অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে। কিন্তু এই ‘ত্রিশক্তি’ কোন সুবাদে? শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী জোহানেসবার্গে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যোগ দিয়েছেন জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে। আর সেই সম্মেলন থেকেই এবার ‘ত্রিশক্তি’ গড়লেন তিনি।
শনিবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যানথোনি আলবানিজ় এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে বৈঠকের পর এই ‘ত্রিশক্তি’ গঠন করলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। সায় দিলেন অন্য রাষ্ট্রপ্রধানরাও। তবে এই ‘ত্রিশক্তি’ কিন্তু প্রতিরক্ষা বা নিরাপত্তার খাতিরে নয়, বরং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের খাতিরে। হাতে হাত মিলিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শিখতে ও তাঁর বিকাশেই তৈরি হল ‘অস্ট্রেলিয়া-কানাডা-ইন্ডিয়া টেকনোলজি অ্য়ান্ড ইনোভেশন পার্টনারশিপ’।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘এই উদ্যোগ তিন মহাদেশ ও তিন মহাসাগর জুড়ে দেবে। তাঁদের মধ্যে প্রযুক্তিগত অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করবে। তিন দেশের মধ্য়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারকেও বৃদ্ধি করবে।’ এই শীর্ষ সম্মেলনের মাঝেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব অ্য়ান্তোনিও গুতারেসের সঙ্গে দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শনিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘জোহানেসবার্গে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে দেখা করে খুব ভাল লাগল। এই বছর ভারত-ব্রিটেনের সম্পর্ক একটা নতুন মাত্রা পেয়েছে। আমরা আশাবাদী সেই সম্পর্ক আগামী দিনেও আরও এগিয়ে যাবে।’ পাশাপাশি, রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রধানের সঙ্গে ‘তাৎপর্যপূর্ণ ও ফলপ্রসূ’ আলোচনা হয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশন থেকে বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের পক্ষে সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি থেকে সন্ত্রাস-মাদক চক্র মোকাবিলার বার্তা দিয়েছেন মোদী। এদিন তিনি বলেন, ‘আফ্রিকার যুব প্রজন্মের উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন থেকে আফ্রিকা স্কিল মাল্টিপ্লায়ার প্রকল্প শুরু করা উচিত। যা আগামী এক দশকে আফ্রিকার বুকে ১০ লক্ষ দক্ষ কর্মী তৈরি করবে। যুব প্রজন্মকে প্রশিক্ষণ দেবে।’
