নয়া দিল্লি: ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের মধ্য়েই প্যালিস্তিনীয় প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গাজার আল আহলি হাসপাতালে সম্প্রতি এক বোমা হামলায় অন্তত ৫০০ অসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এই বিপুল প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্যালিস্তিনীয় প্রেসিডেন্টকে তিনি জানিয়েছেন, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে, প্যালেস্টিনীয় নাগরিকদের প্রতি ভারতের সহায়তা প্রদানে কোনও প্রভেদ ঘটবে না। প্যালেস্তিনীয় জনগণকে মানবিক সহায়তা পাঠিয়ে যাবে ভারত।
প্যালেস্তিনীয় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথোপকথনের পর, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে প্রধানমন্ত্রী মোদী লিখেছেন, “প্যালেস্তিনীয় কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট এইচই মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে কথা বললাম। গাজার আল আহলি হাসপাতালে অসামরিক মানুষদের প্রাণহানির ঘটনায় সমবেদনা জানিয়েছি। আমরা প্যালেস্তিনীয় জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে থাকব। এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ, হিংসা এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে আমাদের গভীর উদ্বেগ জানিয়েছি তাঁকে। ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন ইস্যুতে ভারতের দীর্ঘস্থায়ী নীতিগত অবস্থান রয়েছে। তাঁ তাঁকে ফের জানালাম।”
মঙ্গলবার রাতে গাজার আল আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে রকেট হামলায় প্রাণ গিয়েছে প্রায় ৫০০ প্যালেস্তিনীয় নাগরিকের। বুধবারই এক্স হ্যান্ডেলে সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদী লিখেছিলেন, “গাজার আল আহলি হাসপাতালে প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। সাম্প্রতিক দ্বন্দ্বে সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি অত্যন্ত উদ্বেগের। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের দোষী শাস্তি দিতে হবে।”
৭ অক্টোবর, ইজরায়েলে স্থল-জল এবং আকাশপথে হামলা চালিয়েছিল হামাস বাহিনী। গাজা ভূখণ্ড থেকে ইজরায়েল লক্ষ্য করে হাজার হাজার রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এর ফলে, বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনার পর হামাসের সেই ন্যক্কারজনক পদক্ষেপের নিন্দা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ‘জঙ্গি হামলার’ মুখে ইজরায়েলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। তার কয়েকদিন পর, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ফোন করেছিলেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সেই সময়ও প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, “ভারতের মানুষ এই কঠিন সময়ে দৃঢ়ভাবে ইজরায়েলের পাশে আছে। ভারত দ্ব্যর্থহীনভাবে সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করে।”
এর থেকে প্রাথমিকভাবে একটা ধারণা তৈরি হয়েছিল যে, ভারত সম্ভবত প্যালেস্টাইনের পাশে নেই। তবে, পরে বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বরাবরই প্যালেস্টিনীয়দের দাবিকে সমর্থন করে ভারত। তাদের স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিকে ন্যায্য বলে মনে করে। তবে, হামাসের কর্মকাণ্ড সন্ত্রাসবাদী। ভারত কখনই সন্ত্রাসবাদীদের পাশে ছিল না। এখনও নেই।