টোকিও : জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের শেষকৃত্যে অংশ নিতে সোমবার রাতেই জাপানের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার জাপানে পৌঁছেই বন্ধু আবের শেষকৃত্যে অংশ নেওয়ার আগে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে বৈঠক করলেন মোদী। বৈঠকের পর তিনি বলেন, ‘আমরা আজ এই দুঃখের সময় দেখা করছি। আজ জাপানে পা রাখার পর আমার আরও দুঃখ হচ্ছে। কারণ আমি যখন শেষবার এসেছিলাম তখন আবের সঙ্গে অনেক কথাবার্তা হয়েছিল। কখনও ভাবিনি আমি চলে যাওয়ার পর এরকম একটি খবর আমাকে শুনতে হবে।’
এদিকে বৈঠকের পর মোদী বলেছেন, ‘আবের সঙ্গে আপনিও দেশের বিদেশমন্ত্রী হিসেবে ভারত-জাপান সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন। এবং অনেক ক্ষেত্রে এই সম্পর্ককে প্রসারিতও করেছেন। আমাদের বন্ধুত্ব, ভারত ও জাপানের বন্ধুত্বও বিশ্বব্য়াপী প্রভাব তৈরিতে বড় ভূমিকা পালন করেছে। আর এই সবকিছুর জন্য আজ ভারতের নাগরিক আবেকে ও জাপানকে মনে রাখে। ভারত সবসময় তাঁকে মিস করবে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘কিন্তু আমি নিশ্চিত যে আপনার নেতৃত্বে ভারত-জাপান সম্পর্ক আরও গভীর হবে এবং এক অন্য উচ্চতায় পৌঁছবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আমরা বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান খুঁজতে উপযুক্ত ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হব’।
এদিন কিশিদা-মোদীর বৈঠক প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টোকিওতে পৌঁছেছেন। এরপর তিনি জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্যে অংশ নেবেন। এর পাশাপাশি তিনি জাপানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। এই বৈঠকে ভারত-জাপানের মধ্যে বিশেষ কৌশলগত ও বৈশ্বিক অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা করা হবে।’ জানা গিয়েছে, তাঁরা একাধিক আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়েও আলোচনা করেছেন। প্রসঙ্গত, এর আগেও মে মাসেই মোদী-কিশিদা বৈঠক হয়েছিল। জাপানে কোয়াডভুক্ত দেশগুলির শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে গিয়েই কিশিদার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সময় সামরিক সরঞ্জাম তৈরি, বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও আরও একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল তাঁদের। তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা, ৫ জি পরিষেবা, সেমিকন্ডাক্টার বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তির নানান দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। মুম্বই-আহমেদাবাদ হাই স্পিড রেল প্রকল্প নিয়েও দু’জনের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল।