ওয়াশিংটন: সোশ্যাল মিডিয়ায় অচেনা এখন আপন। এই কথাকে সত্যি করল সাম্প্রতিক এক ঘটনা! সামাজিক মাধ্যমে আলাপ দু’জনের। তারপর ক্রমশ বন্ধুত্ব দুই মহিলার, দু’জন একে অপরের স্বামীর সঙ্গেও পরিচয় করে নেন। আর এভাবেই দুই দম্পতির বন্ধুত্ব হয়ে ওঠে বেশ গাঢ়। যদিও এখানেই থমকে যায় না তাঁদের সম্পর্ক। বন্ধুত্ব আস্তে আস্তে পৌঁছয় ঘনিষ্ঠতার দিকে। অবশেষে একই ছাদের তলায় থাকার সিদ্ধান্ত নেন দুই দম্পতিই! ড্রয়িংরুমের পাশাপাশি তাঁরা ভাগ করে নিয়েছেন বেডরুমও। একে অপরের সঙ্গিনীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন দুই স্বামীই। দুই বধূই এখন মা। যদিও কোন সন্তানের বাবা যে কে, সে বিষয়ে চিন্তাভাবনার অবকাশ নেই চারজনের কারওর কাছেই!
আমেরিকার ওরেগন প্রদেশের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা নেটদুনিয়ায়। সূত্রের খবর, টায়া হার্টলেস ও অ্যালিসিয়া রজার্স এবং তাঁদের স্বামী যথাক্রমে সিন ও টাইলার, নিজেরাই নাকি খোলাখুলি জানিয়েছেন তাঁদের সম্পর্কের গূঢ় রহস্যের কথা। এখনও অবধি তাঁদের সন্তানদের পিতৃপরিচয় নিয়ে চিন্তিত নন চার জনের একজনও। বছর সাতাশের টায়ারের সাফ কথা, ‘আমরা আসলে একটি বড় পরিবার। বাবা মা হিসাবে আমরা একই সঙ্গে সব দায়িত্ব পালন করে থাকি, ভবিষ্যতেও করব।’
‘প্রথমে কিছুটা সঙ্কোচ ছিল, তবে যত সময় বাড়ে, তত কাছাকাছি আসি আমরা চার জন। আর তাই মনের কথা লুকিয়ে রাখা সম্ভব ছিল না কারও পক্ষেই’, অ্যালিসিয়া জানিয়েছেন এমনটাই। দুই দম্পতির কথায়, ২০২০ সালে একই সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। জানা যাচ্ছে, এই সম্পর্কের আগেও দুই দম্পতির সন্তান ছিল। যদিও একসঙ্গে থাকার পর আবার গর্ভধারণে ইচ্ছুক হন অ্যালিসিয়া ও টায়া। ইচ্ছাপূরণে এগিয়ে আসেন সিন ও টাইলার। যদিও কার সন্তানের বাবা যে কে হবে, সে বিষয়ে প্রথম থেকেই খুব একটা ভাবিত ছিলেন না তাঁরা। দুই দম্পতির বার্তা, ‘আমাদের প্রথম দুই সন্তান গর্ব করে বলে, তাদের এক নয়, দু’জোড়া বাবা মা!’
আমেরিকার এহেন অভিনব যৌথ পরিবারের কথা জানতে পেরে চোখ কপালে উঠেছে নেটিজেনদের। সোশ্যাল মাধ্যমে বহু নেটাগরিক রীতিমতো নিন্দা করলেও দুই দম্পতির পাশে দাঁড়িয়েছেন অনেকেই। সম্পর্কের জটিলতায় ভরা এই সমাজে যে ভাবে টাইলার, সিন, টায়া ও অ্যালিসিয়া খোলাখুলিভাবে নিজেদের বহুগামী সম্পর্ককে মান্যতা দিয়েছেন, তাতে তাঁরা সাধুবাদ পেয়েছেন বহু মনোবিদের কাছ থেকে।