লন্ডন: নীরব মোদীর ভারতে ফেরার (Nirav Modi extradition case) সম্ভাবনা কতটা তা নিয়ে বৃহস্পতিবারই কোনও নির্দেশ শোনাতে পারে ব্রিটেনের আদালত। প্রায় ১৪,০০০ কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে আপাতত যিনি লন্ডনের জেলে বন্দি। সূত্রের খবর, লন্ডনের ওয়ান্ডসওয়ার্থ জেল থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে ৪৯ বছর বয়সী এই ‘হীরক-রাজা’র ভারতে প্রত্যর্পণের সিদ্ধান্তের কথা জানাতে পারে ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
বিশ্ব জোড়া নাম এই হীরের ব্যবসায়ীর। তাঁর ‘ব্র্যান্ড’-এর হীরের গয়নায় এক সময় সেজেছে হলিউড থেকে বলিউড। গুজরাতের রত্ন ব্যবসায়ী মেহুল চোকসির এই ভাইপো ৪৬ বছর বয়সেই হয়ে উঠেছিলেন বিজনেস ‘টাইকুন’। ফায়ারস্টার ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান থেকে ফোর্বসের ৫৭ জন ধনীর তালিকায় অন্যতম, সাফল্যের ঝুলিতে কী ছিল না।
আরও পড়ুন: এক মাসে ১০০ টাকা! মধ্যবিত্তের চাপ বাড়িয়ে আবারও দাম বাড়ল রান্নার গ্যাসের
কিন্তু এরই সঙ্গে তিনি যে নীরবে বহুদূর জাল বিস্তার করতে শুরু করেছিলেন ২০১৮ সালে তা ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা চুরির অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। সে বছরই ইডি নীরব মোদীকে ভারতে চেয়ে ব্রিটিশ সরকারের কাছে আর্জি জানায়। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর গত দু’ বছর ধরে নীরবের ভারত-প্রত্যর্পণ নিয়ে মামলা চলছে ওয়ান্ডসওয়ার্থ আদালতে।
এরইমধ্যে বহুবার তিনি জামিনের আবেদন জানিয়েছেন এবং তা নাকচও হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার নীরবের ভারত প্রত্যর্পণের মামলার আবারও শুনানি হতে চলেছে। ব্রিটেনের আদালত যদি চায় তা হলে নীরবকে ভারতে পাঠাতেই পারে। অন্যদিকে নীরবও চাইলে ভারতে আসতে না চেয়ে ব্রিটেনের উচ্চ আদালতে যেতে পারেন।