Ram Mandir Vandalised: কানাডায় রাম মন্দিরে ভাঙচুর, নিন্দা জানিয়ে তদন্তের আবেদন ভারতীয় কনসুলেটের

Ram Mandir Vandalised: কানাডায় রাম মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে মঙ্গলবার। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ভারতের কনসুলেট।

Ram Mandir Vandalised: কানাডায় রাম মন্দিরে ভাঙচুর, নিন্দা জানিয়ে তদন্তের আবেদন ভারতীয় কনসুলেটের
ছবি সৌজন্যে: ANI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 15, 2023 | 2:16 PM

ওট্টায়া: ফের একবার বিদেশের মাটিতে ভাঙচুর করা হল হিন্দু মন্দির (Hindu Temple)। কানাডার (Canada) মিসিসাউগাতে মঙ্গলবার একটি রাম মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়। পাশাপাশি ভারত বিরোধী কিছু গ্রাফিটিও করে দেওয়া হয় মন্দিরের গায়ে। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে খালিস্তানপন্থী এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে।

কানাডায় মঙ্গলবার এই রাম মন্দিরে (Ram Mandir) ভাঙচুর চালানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন টরন্টোতে ভারতীয় কনসুলেটের প্রধান। এই ঘটনায় কানাডার কর্তৃপক্ষকে যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করারও আবেদন করা হয়েছে। ভারতের কনসুলেট জেনারেল টুইটে জানিয়েছেন, “ভারত বিরোধী গ্রাফিটির পাশাপাশি মিসিসাউগাতে রাম মন্দিরে ভাঙচুর করার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এই ঘটনায় তদন্তের জন্য কানাডা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে।”

এদিকে এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন শিখ ফর জাস্টিস। রাম

মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় কানাডাতে বসবাসকারী ভারতীয় সম্প্রদায়ের মধ্যেও ক্ষোভ দেখা গিয়েছে। ব্র্যাম্পটনের মেয়র প্যাট্রিক ব্রাউনও এই মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই এলাকায় এ ধরনের ঘৃণার কোনও জায়গা নেই। তিনি টুইটে জানিয়েছেন, “মিসিসাউগায় রাম মন্দির ভাঙচুরের খবর শুনে আমি মর্মাহত। অজ্ঞাত সন্দেহভাজনরা মন্দিরের পেছনের দেওয়ালে স্প্রে করেছে। পিল অঞ্চলে এই ধরনের ঘৃণার কোনও জায়গা নেই।”

তবে কানাডায় হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনা এই প্রথম নয়। এই বছর জানুয়ারিতেই কানাডার ব্র্যাম্পটনে গৌরী শঙ্কর মন্দিরের গায়ে ভারত বিরোধী গ্রাফিটি করা হয়েছে এবং মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এদিকে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছিল। সেই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, সম্প্রতি কানাডায় ভারত বিরোধী কার্যকলাপ ও ভারতীয়দের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। নয়া দিল্লির তরফে কানাডা কর্তৃপক্ষকে এই ঘটনায় তদন্তের আর্জিও জানানো হয়েছিল। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সালে ধর্ম, সেক্সচুয়াল ওরিয়েন্টেশন ও জাতিকে লক্ষ্য করে কানাডায় অপরাধের সংখ্যা ৭২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।