Vladimir Putin on India-China: ‘ভারত-চিনের সঙ্গে এভাবে কথা বলতে পারেন না’, নাম না করেই ট্রাম্পকে তুলোধনা পুতিনের
US Tariff on India: সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন সামিটের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন যে তারা এশিয়ার দুই বৃহত্তম শক্তির উপরে অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করার চেষ্টা করছে।

বেজিং: ভারতকে চোখ রাঙানি আমেরিকার। এবার পাল্টা জবাব দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞা চাপানোর হুমকি দিয়ে ভারত, চিনকে এভাবে ভয় দেখাতে পারে না ওয়াশিংটন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কড়া বার্তা, “ভারত বা চিনের সঙ্গে এভাবে কথা বলতে পারেন না।”
সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন সামিটের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন যে তারা এশিয়ার দুই বৃহত্তম শক্তির উপরে অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করার চেষ্টা করছে।
ভারত ও চিন-কে নিজের ‘পার্টনার’ বলে উল্লেখ করে পুতিন বলেন, “আমেরিকা শুল্ক নীতি এই দেশগুলির নেতৃত্বকে দুর্বল করার চেষ্টা। ১৫০ কোটি মানুষের দেশ ভারত, চিন, তাদের শক্তিশালী অর্থনীতি, আবার তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক পদ্ধতি ও নিয়মও রয়েছে। যখন কেউ বলে যে তারা শাস্তি দিতে চলেছে, তাহলে আপনাকে ভাবতে হবে যে এই বড় বড় দেশের নেতৃত্ব কী প্রতিক্রিয়া দেবে?”
ভারতের ঔপনিবেশিকতার ইতিহাস তুলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, “ইতিহাসেও ওদের কঠিন সময় ছিল, ওপনিবেশিকতা, তাদের সার্বভৌমত্বের উপরে দীর্ঘ সময় ধরে কর বসানো হয়েছে। যদি কেউ একজনও দুর্বলতা দেখায়, তাহলে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষ হয়ে যাবে। তাই তাদের ব্যবহারেও সেই প্রভাব রয়েছে।”
ঔপনিবেশিক জমানা যে ফুরিয়ে গিয়েছে, সে কথা আমেরিকাকে মনে করিয়ে দিয়ে পুতিন বলেন, “ঔপনিবেশিক যুগ ফুরিয়েছে। পার্টনারদের সঙ্গে এভাবে কথা বলা যায় না, এটা বুঝতে পারবেন। চাপিয়ে দেওয়ার রাজনীতি, চাপে রাখার কৌশল চলবে না আর।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠরা বারবার ভারত বিরোধী বক্তব্য রাখছিলেন। ন্যাভারো কিছুদিন আগেই বলেছিলেন, “চিন ও রাশিয়ার সঙ্গে এক বিছানায় উঠছেন মোদী”। পুতিনের এদিনের বক্তব্যেও স্পষ্ট, ট্রাম্পের চাপানো নিষেধাজ্ঞা ও বাড়তি শুল্কের হুঁশিয়ারি গুরুত্ব না দিয়ে ভারতের পাশেই রয়েছে রাশিয়া।
