নিউ ইয়র্ক: ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের (Russia-Ukraine Conflict) পর ইতিমধ্যেই দু’সপ্তাহের বেশি সময় কেটে গিয়েছে। তবে এখনও প্রতিবেশি দুই দেশের যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ নেই। একাধিকবার দুই দেশ আলোচনার টেবিলে বসলেও কোনও সমস্যার কোনও স্থায়ী সমাধান হয়নি। সামরিক শক্তিতে ইউক্রেনের থেকে অনেক এগিয়ে থাকলেও এখনও ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ কব্জা করতে পারেনি রুশ সেনা বাহিনী। বরং রাশিয়ার দখলে থাকা বেশ কিছু প্রদেশও হাতছাড়া হয়েছে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বারবার দাবি করা হয়েছিল যে এই যুদ্ধে রাশিয়ার অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এমনকী যুদ্ধে তারা হেরে যাবে এমন দাবিও করেছে কিয়েভ। রাশিয়া সেই দাবি অস্বীকার করলেও, আমেরিকার সাম্প্রতিক দাবিতে জল্পনা অনেকটাই বেড়েছে। মার্কিন এক আধিকারিকের দাবি, রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে চিনের থেকে সামরিক সাহায্য চেয়েছে। আমেরিকার এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে্র (The New York Times) দাবি, চিনের থেকে রাশিয়া কী ধরনে অস্ত্র চেয়েছে, তা মার্কিন আধিকারিকরা বলতে রাজি হননি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ অনৈতিক দাবি করে পশ্চিমী বেশ কিছু দেশ রাশিয়াকে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছে। ফলে রাশিয়ার ওপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমনকী আন্তর্জাতিক লেনদনের ক্ষেত্রে প্রধান রাশিয়ান ব্যাঙ্কগুলির থেকে সুইফ্ট প্রত্যাহার করা হয়েছে। মার্কিন ওই সংবাদপত্র দাবি করা হয়েছে, রাশিয়া চিনের থেকে আর্থিক সাহায্যও চেয়েছে। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে রাশিয়ান ব্যাঙ্কগুলি চিনের ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে গাঁটছাড়া বেঁধে আন্তর্জাতিক লেনদেন করার প্রক্রিয়াটি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে। ভিসা ও মাস্টারকার্ডের মত সংস্থা ইতিমধ্যেই রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই রাশিয়া চিনের ইউনিয়ন পে-এর সঙ্গে সমঝোতা করেছে বলেই জানা গিয়েছে।
চিন অবশ্য রাশিয়ার অস্ত্র চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। আমেরিকার চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, “আমি এরকম কিছু শুনিনি। বর্তমানে দুই দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগে সমস্যার সমাধানকেই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিৎ। চিন দুই দেশকে সংযম বজায় রাখতে এবং উদ্ভূত মানবিক সঙ্কট মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছে।” মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান চিনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা ইয়াং জিয়েচির সঙ্গে এই সপ্তাহেই দেখা করার পরিকল্পনা করেছেন। তিনি চিনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে রাশিয়াকে যেন কোনও ধরনের সাহায্য না করা হয়। এখন পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।