Mariupol: ‘সাদা রিবন পড়ুন, নাহলে…’, মারিউপোলের বাসিন্দাদের চরম হুঁশিয়ারি দিল রুশ সেনা
Russia-Ukraine Conflict: ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী মারিউপোলের সাধারণ মানুষদের পোশাকে সাদা রিবন লাগিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ইউক্রেনের সেনাদের থেকে সাধারণ নাগরিকদের আলাদাভাবে চিহ্নিত করতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মারিউপোল: ইউক্রেনের (Ukraine) বন্দর শহর মারিউপোল (Mariupol) দখল করতে মরিয়া রাশিয়া (Russia)। অন্যদিকে এই শহরের দখল ছাড়তে নারাজ ইউক্রেনও। এই টানাপোড়েন নিয়েই দিনে দিনে আরও জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। এবার মারিউপোলের বাসিন্দাদের চরম হুঁশিয়ারি দিল রাশিয়া। রুশ সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, মারিউপোলের বাসিন্দারা যদি নিজেদের জামায় সাদা রিবন না বাঁধেন, তবে তাদের গুলি করে হত্যা করা হবে। সম্প্রতিই মারিউপোলের মেয়র জানিয়েছিলেন, শহরটা আর কিছু নেই। ৯০ শতাংশ বাড়িই ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে রুশ সেনা। প্রায় ২১ হাজার নাগরিককে মেরে ফেলা হয়েছে বলেও দাবি ইউক্রেন প্রশাসনের।
মেইলঅনলাইন নামক একটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, মারিউপোলের মেয়রের সহায়ক টেলিগ্রামে পোস্ট করে বলেন যে, “দখলকারীরা আর নরম সুরে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করছে না। তারা রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলছে যে যদি সাধারণ মানুষ সাদা রিবন না পড়ে, তবে তারাও সেনার গুলি থেকে রেয়াত পাবে না।”
জানা গিয়েছে, ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী মারিউপোলের সাধারণ মানুষদের পোশাকে সাদা রিবন লাগিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ইউক্রেনের সেনাদের থেকে সাধারণ নাগরিকদের আলাদাভাবে চিহ্নিত করতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি পথে ঘাটে সাধারণ মানুষের জামায় ওই সাদা রিবন না থাকে, তবে তাদেরকে ইউক্রেনের স্নাইপার ভেবেই গুলি করা হবে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনের উপরে সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকেই সে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর মারিউপোল দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়ার সেনা। লাগাতার গোলাবর্ষণ করলেও, এখনও অবধি মারিউপোল দখল করতে পারেনি রুশ সেনা। যুদ্ধের মাঝেই মানবিক করিডরের মাধ্যমে সেই শহরের বাসিন্দাদের বের করে আনা হয়। তবে এখনও কমপক্ষে কয়েক হাজার মানুষ এখনও মারিউপোলে আটকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এরমধ্যে অধিকাংশই আবার মহিলা ও শিশু। বর্তমানে ওই শহরে কোনও খাবার নেই বলেই জানা গিয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কি সম্প্রতিই জানিয়েছিলেন, যদি মারিউপোলের বাসিন্দাদের সুরক্ষিতভাবে বেরিয়ে আসতে দেওয়া হয়, তবে রাশিয়ার যুদ্ধবন্দিদেরও ছেড়ে দেওয়া হবে।