Russia-USA: রুশ যুদ্ধবিমানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ, কৃষ্ণ সাগরে ভেঙে পড়ল মার্কিন ড্রোন

Russian jet collides with US drone: কৃষ্ণ সাগরের উপর মার্কিন ড্রোনের সঙ্গে রুশ যুদ্ধবিমানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানাল মার্কিন সামরিক বাহিনীর ইউরোপীয় কমান্ড।

Russia-USA: রুশ যুদ্ধবিমানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ, কৃষ্ণ সাগরে ভেঙে পড়ল মার্কিন ড্রোন
রুশ সুখোই এসইউ-২৭ জেট বিমান এবং মার্কিন এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 14, 2023 | 11:26 PM

ওয়াশিংটন: কৃষ্ণ সাগরের উপর মার্কিন ড্রোনের সঙ্গে রুশ যুদ্ধবিমানের মুখোমুখি সংঘর্ষ! মার্কিন সামরিক বাহিনীর ইউরোপীয় কমান্ডের দাবি, মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) একটি রুশ সুখোই – ২৭ জেট বিমানের সঙ্গে একটি মার্কিন এমকিউ-৯ রিপার ড্রোনের ধাক্কা লাগে। ইউক্রেন সীমান্তের খুব কাছে আন্তর্জাতিক জলসীমার উপর, আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় এই ঘটনা ঘটেছে। সূত্রের খবর, রাশিয়া থেকে ক্রিমিয়ার দিকে যাচ্ছিল দুটি এসইউ – ২৭ জেট বিমান। এর মধ্যে একটির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় মার্কিন ড্রোনটির। তারপর সুখোই বিমানটি ক্রিমিয়াতেই অবতরণ করেছে। সংঘর্ষে সুখোই-২৭ বিমানটির কোনও ক্ষতি হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে মার্কিন ড্রোনটির প্রপেলারের ক্ষতি হওয়ায়, এটি ক্রিমিয়ার পশ্চিমে কৃষ্ণ সাগরে অবতরণ করেছে।

ইউএস এয়ার ফোর্সের ইউরোপ ও আফ্রিকার কমান্ডার, জেনারেল জেমস হেকার বলেছেন, “আমাদের এমকিউ-৯ ড্রোনটি আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় রুটিন অপারেশন চালাচ্ছিল। সেই সময় একটি রুশ বিমান এর সামনে এসে যায় এবং ড্রোনটিকে ধাক্কা মারে। এর ড্রোনটি ভেঙে পড়ে এবং সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।” ফোর্সেস ইউরোপ এবং এয়ার ফোর্সেস আফ্রিকা। বস্তুত, রুশদের এই অনিরাপদ এবং অপেশাদার কাজের ফরে দুটি এয়ারক্রাফ্টই প্রায় বিধ্বস্ত হয়েছে।”

ওয়াশিংটনও এই ঘটনায় রাশিয়ার নিন্দা করেছে। এই সংঘর্ষকে রাশিয়ার ‘বেপরোয়া পদক্ষেপ’ বলে উল্লখ করেছে। মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র, জন কিরবি বলেছেন, “এই অঞ্চলে রুশ বিমানের মুখোমুখি হওয়া সাধারণ ঘটনা। প্রায়শই ঘটে থাকে। তবে এই ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কারণ রাশিয়ার এই পদক্ষেপ ছিল অনিরাপদ এবং অ-পেশাদার। প্রকৃতপক্ষে এটি ছিল বেপরোয়া পদক্ষেপ।”

রাশিয়ার পক্ষ থেকে অবশ্য এখনও এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে এই মার্কিন দাবি গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকে আন্তর্জাতিক মহল রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র – এই দুই মহাশক্তির সরাসরি সংঘর্ষ এড়াতে চাইছিল। এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনকে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করলেও, সরাসরি এই যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সামনের কয়েক দিনে বাইডেন প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয়, সেদিকেই চোখ থাকবে গোটা দুনিয়ার। মুহূর্তের অসতর্কতায় লেগে যেতে পারে আরও একটা বিশ্বযুদ্ধ।