ওয়াশিংটন: সালমান রুশদির অবস্থা এখনও গুরুতর কিন্তু তার স্বাভাবিক “সাহসী এবং প্রতিবাদী” রসবোধ একেবারে অক্ষুণ্ণ রয়েছে। সোমবার (১৫ অগস্ট) এমনটাই জানিয়েছেন লেখকের ছেলে জাফর রুশদি। সোমবার টুইটারে সালমান রুশদির শারীরিক অবস্থা এবং তাঁর উপর হওয়া হামলার বিষয়ে একটি পারিবারিক বিবৃতি প্রকাশ করেন জাফর রুশদি। অন্যদিকে, আমেরিকার নিউইয়র্ক প্রদেশের গভর্নর বলেছেন, “কাপুরুষোচিত আক্রমণ কোনও মানুষের কলমকে স্তব্ধ করতে পারে না।”
গত শুক্রবার নিউইয়র্ক প্রদেশে এক সাহিত্য অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলেন সালমান রুশদি। সেখানে মঞ্চেই তাঁকে ছুরিকাঘাত করেন এক দুষ্কৃতী। ৭৫ বছর বয়সী লেখককে নিকটবর্তী এক হাসপাতালে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। দেওয়া হয়েছিল ভেন্টিলেটরের সহায়তা। শনিবার তাঁর অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেটর থেকে বের করে আনা হয়েছে। এরপর তিনি কথাও বলেছেন।
রুশদির পরিবারের পক্ষ থেকে গত শুক্রবার চৌতাকুয়া ইনস্টিটিউশনে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে। হামলার পর মুহূর্তে তাঁরাই সাহসের সঙ্গে সালমান রুশদির প্রতিরক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন এবং তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসাও দিয়েছিলেন। রুশদির সেবা করার জন্য তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশ ও চিকিৎসকদেরও ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে সারা বিশ্ব থেকে যে ভালবাসা এবং সমর্থন তাঁরা পাচ্ছেন, তার জন্যও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা আরও ধৈর্য এবং গোপনীয়তার অনুরোধ করছি। কারণ এই সময়ে তাঁকে সমর্থন ও সাহায্য করার জন্য তাঁর বিছানার পাশে পরিবারের সদস্যরা একত্রিত হয়েছেন।”
রবিবার সালমান রুশদির প্রাক্তন স্ত্রী তথা মডেল, বিখ্যাত টিভি ব্যক্তিত্ব পদ্ম লক্ষ্মী টুইট করে বলেছিলেন: “স্বস্তির খবর, শুক্রবারের দুঃস্বপ্নের পর সুস্থ হয়ে উঠছেন সালমান রুশদি। খুবই উদ্বেগে ছিলাম এবং কিছু বলতে পারছিলাম না। অবশেষে শ্বাস নিতে পারছি। এখন তাঁর দ্রুত নিরাময়ের আশা করছি।” ২০০৪ সালে বিয়ে করেছিলেন পদ্ম লক্ষ্মী এবং সালমান রুশদি। তিনি ছিলেন রুশদির চতুর্থ স্ত্রী। ২০০৭ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল।