রিয়াধ: টুইটার ব্যবহার ‘অপরাধে’ শাস্তি হল এক মহিলার। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করায় ওই মহিলাকে ৩৪ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে সৌদি আরবের আদলত। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি এই খবর জানিয়েছে। ৩৪ বছর কারাদণ্ডের শাস্তি পাওয়া ওই মহিলার নাম সালমা আল শেহাব। ব্রিটেনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি করেন তিনি। সালমার ২টি সন্তানও রয়েছে। টুইটারে তাঁর ফলোয়ার রয়েছে আড়াই হাজারেরও বেশি। সোশ্যাল মিডিয়ার ওই প্ল্যাটফর্মে নারীদের অধিকার নিয়ে প্রায়শই সরব হতেন তিনি। রক্ষনশীল সুন্নি মুসলিম সমাজে নারী অধিকার নিয়ে সরব হতেই কর্তৃপক্ষের কোপ পড়ে তাঁর উপর।
তবে টুইটার ব্যবহারের জন্য ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ছুটি কাটায় সৌদি আরবে এসেছিলেন তিনি। সে সময়ই সালমাকে গ্রেফতার করে সৌদি আরব প্রশাসন। সে বছর জুন মাসে তাঁকে ৬ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এ বছর অগস্টে সেই শাস্তির মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছে সে দেশের আদালত। ৩৪ বছর কারাদণ্ড ভোগের পরবর্তী ৩৪ বছর বিদেশে যেতে পারবেন না সালমা। এই নিষেধাজ্ঞা সাজারই অংশ।
এই শাস্তি নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। লন্ডনের একটি মানবাধিকার সংস্থা এই রায়ের প্রেক্ষিতে জানিয়েছে, কোনও শান্তিপূর্ণ মানবাধিকার কর্মীর উপর নেমে আসা সব থেকে বেশি শাস্তির খাড়া। এই রায়কে হাস্যকর বলে সৌদির মানবাধিকার এবং বিচার ব্যবস্থা দুটোরই সংশোধনের দাবি করেছে ওই সংস্থা।
সাম্প্রতিক কালে মেয়ে গাড়ি চালানোয় নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়েছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমন। ব্যধতামূলক ভাবে স্কার্ফ পরার নিয়মেও বদল আনেন। কিন্তু এত কিছুর পরও যে সৌদি আরবের রক্ষনশীল মানসিকতার যে বিশেষ পরিবর্তন ঘটেনি, তা বুঝিয়ে দিচ্ছে এই ঘটনা।