The Great Calcutta Killing: দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংয়ে বড় ভূমিকা ছিল মুজিবের? ধ্বংসস্তুপ থেকে মিলল বিস্ফোরক চিঠি!

The Great Calcutta Killing: এক বাংলাদেশি টিভি চ্যানেলের দাবি, মুজিবের বাড়ি ভাঙচুরের সময় গোপন কুঠুরি থেকে বেশকিছু চিঠি ও দুটো ডায়েরি মিলেছে। সবকটাই ১৯৪৬ সালের। এর একটার পাতায় পাতায় ছেচল্লিশের দাঙ্গার বর্ণনা

The Great Calcutta Killing: দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংয়ে বড় ভূমিকা ছিল মুজিবের? ধ্বংসস্তুপ থেকে মিলল বিস্ফোরক চিঠি!
Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সোমনাথ মিত্র

Feb 12, 2025 | 12:36 PM

মুজিবর রহমানের বাড়ি। সেই বাড়িটি তৈরি হয়েছিল ইতিহাসের সংগ্রহশালা। ৩২ ধানমন্ডির সেই বাড়ি আজ ধ্বংসস্তুপের কবরে। আর সেখান থেকে উঠে এল ইতিহাসের চাপা পড়া এক অধ্যায়। এর উত্তর, একে ঘিরে থাকা রহস্য, সবই এখন একটা পাতলা ডায়েরির পাতায় বন্দি।

এক বাংলাদেশি টিভি চ্যানেলের দাবি, মুজিবের বাড়ি ভাঙচুরের সময় গোপন কুঠুরি থেকে বেশকিছু চিঠি ও দুটো ডায়েরি মিলেছে। সবকটাই ১৯৪৬ সালের। এর একটার পাতায় পাতায় ছেচল্লিশের দাঙ্গার বর্ণনা। দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংয়ের খুঁটিনাটি। তাঁকে তখন কী দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল? তিনি কী, কী করেছিলেন – ডায়েরিতে সে সব লেখা রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। বাংলাদেশের ওই টেলিভিশন চ্যানেলের দাবি, ছেচল্লিশের দাঙ্গা যে কোনও হঠাত্‍ ঘটে যাওয়া ঘটনা ছিল না, ডায়েরিতে তা মেনে নিয়েছেন মুজিব।

ছেচল্লিশের দাঙ্গা মানে দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং। কুখ্যাত ১৬ই অগাস্ট। সেদিন শহিদ মিনারের সভা থেকে কলকাতায় অশান্তির উস্কানি দেওয়া হয়। ওই সভার গেস্ট কো-অর্ডিনেশনের দায়িত্বে ছিলেন মুজিবর রহমান। তখন তিনি লিগের তরুণ নেতা, সম্ভাবনাময় মুখ। ওই সভাতে মুজিবও উস্কানিমূলক ভাষণ দেন বলে অভিযোগ। আর বাকিরা তো ছিলেনই। এরপর, ওই বছর লক্ষ্মীপুজোর দিন নোয়াখালিতে আক্রান্ত হন হিন্দুরা। দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে কলকাতা-সহ গোটা অবিভক্ত বাংলায়।

বাংলায় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ইতিহাস নিয়ে যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের একাংশের মতে, অন্য লিগ নেতাদের মতো মুজিবও দাঙ্গার দায় এড়াতে পারেন না। তিনি সব জেনেশুনে মহম্মদ আলি জিন্নাহ ও সুরাবর্দীর নির্দেশ মতো কাজ করে গিয়েছেন। ডায়েরিতেও সেটাই লেখা রয়েছে বলে খবর। অথচ, আত্মজীবনীতে মুজিব একদম অন্য কথা বলেন। সেখানে মুজিব লিখেছিলেন, আমরা দাঙ্গায় আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে শহর চষে বেড়িয়েছিলাম। আমরা মুসলিম বস্তির পাশাপাশি হিন্দু মহল্লাও পাহারা দিয়েছিলাম। মুজিব বইতে বলেছেন, আমরা ভাবতেই পারিনি যে এইভাবে দাঙ্গা বেধে যাবে এবং সেটা এই আকার ধারণ করবে।

সেই কথা আর ডায়েরির কথার মধ্যে নাকি বিস্তর অমিল। ডায়েরির সঙ্গে রয়েছে মুজিবকে পাঠানো কিছু চিঠি ও নির্দেশের প্রতিলিপি। এগুলোয় ঠিক কী আছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বাংলাদেশের ওই টিভি চ্যানেলের দাবি, মুজিবের বাড়ি থেকে পাওয়া নথির একটা অংশ লুঠ হয়ে গিয়েছে। একটা অংশ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠনের দুই নেতার হাতে এসেছে। এই দুই নেতাকে কোট করেই খবর করেছে বাংলাদেশের ওই টিভি চ্যানেল।