নিউ ইয়র্ক: মহাকাশের অন্তহীন রহস্যের হদিশ পাওয়া মুখের কথা নয়। বিজ্ঞান উন্নত হলেও, অনেক কিছুই এখনও অধরা। মহাশূন্য থেকে এখনও ভেসে আসে এমন অনেক ইঙ্গিত, যার রহস্যভেদ করা সম্ভব হয় না। পৃথিবী গ্রহের বাইরে আর কোথাও প্রাণের চিহ্ন আছে কি না, সেটাও হন্যে হয়ে খুঁজছেন গবেষকরা।
এবার এমনই এক সিগন্যালের রহস্যভেদ করল বাবা ও কন্যা। ‘আ সাইন ইন স্পেস প্রজেক্ট’-এর অধীনে গবেষকরা এমন সব সিগন্যালের রহস্যভেদ করার চেষ্টা করছেন। গত বছরের মে মাসে মঙ্গল গ্রহের চারপাশে ঘুরতে থাকা একটি মহাকাশযানের মাধ্যমে এমন একটি সিগন্যাল পৌঁছয়। সেটার অর্থ খুঁজে বের করা হয়েছে।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির স্পেসক্রাফ্টে আসা ওই সিগন্যাল অনলাইনে আপলোড করা হয়েছিল। প্রায় এক বছর ধরে ওই সিগন্যাল নিয়ে কাটাছেঁড়া করেছেন কেন শ্য়াফিন ও তাঁর মেয়ে।
সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে তাঁরা জানিয়েছেন, গত জুন মাসে ওই সিগন্যালে রহস্যভেদ করতে সাফল্য পান তাঁরা। তাঁরা খতিয়ে দেখেছেন ওই সিগন্যাল কোনও একটি জায়গায় স্থির হয়ে নেই, তাতে রয়েছে গতি।
জানা গিয়েছে, এলিয়েনের মতো ওই সিগন্যাল মঙ্গল থেকে পৃথিবীতে পৌঁছেছে ১৬ মিনিটে। নর্দার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যালেন টেলিস্কোপে ধরা পড়ে সেই সিগন্যাল, ধরা পড়ে ইতালির বোলোগনার মেডিসিনা রেডিও অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল স্টেশনেও। এরপর অনলাইনে আপলোড করা হয় সেই ডেটা। গবেষকরা জানিয়েছেন, অ্যামিনো অ্যাসিড থেকেই তৈরি হয়েছিল ওই সিগন্যাল।