ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত কয়েকমাস উত্তপ্ত হয়েছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। তারপর আচমকা বাংলাদেশে বিলাসবহুল হোটেলগুলির ব্যবসা এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে গিয়েছে। একসময় ঢাকার যে লাক্সারি হোটেলগুলিতে রুম পাওয়া যেত না, সেই হোটেলগুলিই এখন অতিথির প্রত্যাশায় কার্যত চাতক পাখির মতো চেয়ে রয়েছে। বাংলাদেশের হোটেল ব্যবসায় কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত জুলাই থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। আন্দোলন সহিংস হয়ে উঠলে বিলাসবহুল হোটেলগুলিতে অতিথির সংখ্যা কমতে থাকে। গত ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তারপর রাজনৈতিক পটপরিবর্তন পরিস্থিতির কারণে হোটেলগুলি কার্যত অতিথিশূন্য হয়ে পড়ে। একইসঙ্গে হোটেলে সামাজিক ও কর্পোরেট অনুষ্ঠানের আয়োজন কমে যাওয়ায় আরও ক্ষতির মুখে পড়ে ‘স্টার’ হোটেলগুলি।
একাধিক বিলাসবহুল হোটেলের কর্মকর্তারা বলছেন, “বিলাসবহুল হোটেলগুলির বেশিরভাগ অতিথিই দেশ-বিদেশের ব্যবসায়ীরা। কিন্তু, গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিদেশি অতিথির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গিয়েছে। ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড কিছুটা থমকে গিয়েছে। ফলে বিদেশি অতিথিরা আসছেন কম। আবার দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যাঁরা নিয়মিত গ্রাহক ছিলেন, তাঁরাও হোটেলে আসছেন কম।”
তবে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর হোটেল ব্যবসা ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা। তবে অগস্টের ধাক্কা কাটিয়ে পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরেনি হোটেল ব্যবসা। অক্টোবরে ঢাকার বেশিরভাগ লাক্সারি হোটেলের ৫০ শতাংশ বা তার বেশি কক্ষ খালি থেকেছে। বিয়ের অনুষ্ঠান লাক্সারি হোটেলে প্রায় হচ্ছে না বললেই চলে। সভা বা সেমিনার হলেও তা গতবছরের তুলনায় কম। নভেম্বরে ব্যবসা কিছুটা বাড়বে বলে আশাবাদী হোটেল ব্যবসায়ীরা।
ঢাকার একটি লাক্সারি হোটেলের কর্ণধার বলেন, “আমাদের অতিথিদের মধ্যে আমেরিকা, ভারত, চিন, জাপান, রাশিয়ার ব্যবসায়ীরা বেশি থাকেন। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিদেশি অতিথিদের বাংলাদেশে আসা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে।”