পেলসিলভেনিয়া: নৃশংস! ছেলের হাতে বাবার খুন হওয়ার খবর হামেশাই শোনা যায়। কিন্তু, এবার নৃশংসভাবে বাবাকে খুন করে সেই খুন করার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করল ‘গুণধর ছেলে’। নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায়। যদিও একাজ করে রেহাই পায়নি ছেলে। তাকে গ্রেফতার করেছে মার্কিন পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম জাস্টিন। ৩২ বছর বয়সি এই যুবক তার বাবা মাইকেল মোহনকে (৬৮) শিরচ্ছেদ করে হত্যা করে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, বাবার কাটা মুণ্ড নিয়ে ভিডিয়ো করে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে পোস্ট করে জাস্টিন। ঘটনাটি গত মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। জাস্টিনের মা ডেনিস পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন এবং অভিযুক্তকে তার বাড়ি থেকে ১০০ মাইল দূরে এক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আপাতত সে জেল হেফাজতে।
ঠিক কী ঘটেছিল?
মার্কিন সংবাদমাধ্যম অনুসারে, গত ৩০ জানুয়ারি ডেনিস নামে এক মহিলা পেলসিলভেনিয়া পুলিশের হেল্পলাইনে ফোন করে জানান, তাঁর স্বামীর মুণ্ডহীন দেহ বাড়ির বাথরুমে পড়ে রয়েছে। তিনি দুপুর ২টো নাগাদ বাড়িতে ফেরেন এবং সেই সময় তাঁর ছেলে জাস্টিনকে গাড়ি নিয়ে বেরোতে দেখন বলেও পুলিশকে জানান ডেনিস। খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। তারপর তল্লাশি চালিয়ে বাড়িতেই একটি প্লাস্টিকের মধ্যে কাটা মুণ্ড ও রক্তাক্ত ছুরি পায়। এরপর পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে এবং ইউটিউবের ভিডিয়োটি জাস্টিনকে ধরতে সাহায্য করে।
বাবার কাটা মুণ্ড নিয়ে ভিডিয়োটিতে জাস্টিনকে বলতে শোনা যায়, তার বাবা ২০ বছর ধরে পুলিশে কাজ করেছেন। তিনি দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে অভিযোগ ‘গুণধর’ ছেলের। এরপর জাস্টিনের খোঁজে নেমে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিকে, ইউটিউবে ওই ভিডিয়োটি দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে। কাটা মুণ্ডর ভিডিয়ো আপলোডে কীভাবে ইউটিউব অনুমতি দিল এবং দীর্ঘক্ষণ ধরে সেটি চলল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মার্কিন প্রশাসন। যদিও ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরই ভিডিয়োটি মুছে দেয় ইউটিউব। এই ধরনের ভিডিয়ো ভবিষ্যতে যাতে আপলোডের অনুমতি না দেওয়া হয়, সে ব্যাপারে কড়া বার্তা দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।