Spain: ‘সেক্সটয়’ বলে প্রতিবেশীকে বাক্সে ভরে স্বামীর সিদ্ধ করা কাটা মাথা দিলেন মহিলা
Spanish Woman gives neighbour husband's boiled head: মুখে বলেছিলেন বাক্সে সেক্সটয় আছে। খুলতেই বের হল তাঁর স্বামীর কাটা এবং সিদ্ধ করা মাথা।
মাদ্রিদ: ২০১৯ সাল, তখনও কোভিড-১৯ মহামারির সাক্ষী হয়নি পৃথিবী। আচমকা ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছিলেন কারমেন মেরিনোর স্বামী ৬৭ বছরের জেসুস মারিয়া। স্পেনের স্যান্টান্ডার শহরের পুলিশ তদন্ত শুরু করেছিল। ৬৪ বছরের মহিলা আচমকা হাজির হয়েছিলেন প্রতিবেশী মারি মেন্ডোজার বাড়িতে। মারিকে বলেছিলেন, তাঁর কাছে কিছু সেক্স টয় আছে। পুলিশ তো এই তদন্তে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি করবে। যৌন খেলনাগুলি পুলিশ খুঁজে পেলে তাঁকে বিব্রত হতে হবে। তাই যদি মারি সেগুলি রেখে দেন। সরল মনে রাজি হয়েছিলেন মারি। তাঁকে একটি ‘সেক্সটয়’ ভরা বাক্স রাখতে দিয়েছিলেন কারমেন। তারপরে যা ঘটেছিল, তা মারি কল্পনাও করতে পারেননি।
দিন কয়েক পরে বাক্সটি থেকে গন্ধ বের হতে শুরু করেছিল। মারি বাধ্য হয়ে বাক্সটি খুলেছিলেন। ভেবেছিলেন বাক্সটিতে ডিল্ডো এবং ভাইব্রেটর থাকবে। পরিবর্তে ছিল অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী, কারমেন মেরিনোর স্বামী, জেসুস মারিয়ার পচা-গলা মাথা। এরপর প্রায় ছ’মাস পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেরিয়েছিলেন কারমেন। অবশেযষে তাঁকে হাতকড়া পরাতে পেরেছিল পুলিশ। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) আঞ্চলিক ক্যান্টাব্রিয়া আদালত তাঁর স্বামীকে হত্যার দায়ে কারমেন মেরিনোকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। তাঁকে ১৫ বছরের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
স্যান্টান্ডার পুলিশ জানিয়েছে, জেসুস মারিয়ার এক উইল করে তার সব সম্পত্তিত স্ত্রীর নামে লিখে দিয়েছিলেন। তারপরই সেই সম্পত্তি গ্রাস করার লোভ জেগেছিল কারমেনের মনে। সেই লোভ থেকেই স্বামীকে হত্যা করেছিলেন ষাটোর্ধ এই মহিলা। স্বামী মৃতদেহ নির্বিঘ্নে ফেলে দিলেও, তাঁর মস্তকটি নিদের কাছে রেখে দিয়েছিলেন। তদন্ত শুরু হওয়ার পর মস্তকটি তিনি প্রথমে জল দিয়ে সিদ্ধ করেছিলেন। কারণ, যে করোটিটি পাওয়া গিয়েছে, তাতে কোনও মানব কলা ছিল না। তারপর, ফয়েলে মুড়িয়ে ওই বাক্সে ভরেছিলেন। সেই বাক্সটিই তিনি দিয়েছিলেন মারিকে। পুলিশ, জেসুস মারিয়ার মস্তক শনাক্ত করেছিল, সিদ্ধ করা করোটিটিতে লেগে থাকা একটি দাঁত দিয়ে।
গ্রেফতারির পরও কারমেন মেরিনো একবারও পুলিশের কাছে কিংবা আদালতে তাঁর দোষ স্বীকার করেননি। প্রথমে তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁর স্বামী স্বেচ্ছায় নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। পরে তিনি প্রতিবেশী মারি এবং জেসুস মারিয়ার এক ভাইয়ের দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁর দাবি, ওই দুজনের কাছেই তাঁদের বাড়ির চাবি ছিল। তিনি আরও দাবি করেছেন, মারি মেন্ডোজাকে তিনি সেক্সটয় ভরা একটি ব্যাগ দিয়েছিলেন। তাতে, তাঁর স্বামীর মস্তক ছিল না। সেক্সটয়গুলি তিনি নিজের জন্মদিনে কিনেছিলেন বলে দাবি করেছেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তাঁর দাবি মানেনি আদালত। তাঁকে ১৫ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি স্বামীর ভাই-সহ তাঁর স্বামীর আত্মীয়দের ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানার সাজা দেওয়া হয়েছে।